নববর্ষের সকালে তৃণমূল প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বাড়ি হাজির সিবিআই, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তল্লাশি জারি বিভাস অধিকারীর বাড়ি ও আশ্রমে

একদিকে গতকাল, শুক্রবার থেকেই সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। এবার নববর্ষের সকালেই সিবিআইয়ের অন্য একটি দল হাজির হলেন বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিভাস অধিকারীর বাড়ি। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তারা হাজির হন বিভাসের আশ্রমেও। রয়েছে আধাসেনাও।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই বিভাস অধিকারীর। তিনি কাদের চাকরি দিয়েছেন, কত টাকায় রফা হয়েছে, কাদের মারফত চাকরি দিয়েছেন, তা জানতে চায় সিবিআই। এর পাশাপাশি বিভাস অধিকারী নলহাটিতে যে আশ্রম চালান, সেই আশ্রমকে সামনে রেখে বেআইনি কারবার চালাতেন বলেও সিবিআই সূত্রে উঠে আসছে তথ্য়। সূত্রের খবর, বিভাসের দুই ছেলেও রয়েছেন সিবিআইয়ের নজরে।
জানা গিয়েছে, বিভাস অধিকারীর সঙ্গে তাপস মণ্ডলের লেনদেন ছিল। এই তাপস মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ইডি। তিনি আপাতত জেলবন্দি রয়েছেন।
আজ, শনিবার নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের দু’টি টিম রওনা দেয় বীরভূমের উদ্দেশে। তাদের গন্তব্য ছিল বিভাস অধিকারীর বাড়ি ও আশ্রম। এই আশ্রমে এক সময়ে মুকুল রায়ও প্রায়ই আসতেন। মুকুল যখন বিজেপিতে ছিলেন তখন তাঁর বিভাসের আশ্রমে যাওয়া নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছিল। এখন দেখার বিভাসের বাড়িতে সিবিআই কতক্ষণ তল্লাশি চালায় আর তাদের পরবর্তী পদক্ষেপই বা কী হয়।
বলে রাখি, ইনিই সেই বিভাস অধিকারী যার দুই ছেলে এক সংবাদমাধ্যমের দুই সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলেছিলেন। ছেলেদের হয়ে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বিভাস। বলেছিলেন, “সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ ঠিক হয়নি। যদি আমাকে বলা হয় ক্ষমা চেয়ে নিতে। আমি ক্ষমা চেয়ে নেব। আমার ছেলেরা যদি মেরে থাকে তাহলে আমি ওদের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি”।