মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়ার পর এবার কোচবিহার, ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার আরও ৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের

এর আগে মুর্শিদাবাদ ও বাঁকুড়ার শিক্ষকদের তলব করা হয়েছিল। এবার সিবিআইয়ের নজর কোচবিহারে। ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার ওই জেলার ৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষককে তলব করল সিবিআই। ১০ ও ১১ আগস্ট তাদের সমস্ত নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদের সকলের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগ রয়েছে।
কী অভিযোগ উঠেছে এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে?
সূত্রের খবর, কোচবিহারের এই ৩১ জন শিক্ষক ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। চাকরি পান তারা। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই চাকরিগুলি অর্থের বিনিময়ে হয়েছে ক না, কোনও গলদ রয়েছে? এই বিষয়টিই খুঁজে বের করতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রত্যেক শিক্ষককেই মাধ্যমিক থেকে শুরু করে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত যত নথি রয়েছে সমস্ত কিছু নিয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, এই নথি জমা দেওয়ার পর শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করাও হবে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে।
এই বিষয়ে কোচবিহার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক কানাইলাল দে বলেন, “৩১ জনের প্রাথমিক শিক্ষকের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ১০ ও ১১ আগস্ট তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আমরা সেই নোটিস সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের পাঠিয়ে দিয়েছি”।
উল্লেখ্য, টাকা দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে এর আগে মুর্শিদাবাদের ৪ জন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এছাড়াও, তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার ৭ জন শিক্ষককে। কিন্তু খবর, এই ৭ জন শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন। তার মানে তারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। এমনটা নয়। কারণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের প্র সমস্ত নথি যাচাই করে তবেই চাকরি দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের। ফলে আদালতের নির্দেশে চাকরি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কী জানাচ্ছেন এই ৭ জন শিক্ষক?
এই তলবের জেরে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে ওই সাত জন শিক্ষক বারবার দাবী করেছেন যে পর্ষদের ভুলের জন্যই তাদের এভাবে বদনাম হতে হচ্ছে। তাদের কথায়, “আমরা পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের মামলায় হাই কোর্টের রায়ের জেরে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু পর্ষদের ওয়েবসাইটে সেই তথ্য আপডেট নেই। আর সেই কারণে সিবিআই ডেকেছিল। নথি দেখে আজকের মতো ছেড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা”।