চার শিক্ষক জেলে, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহের জেরে এবার আরও ৭ শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হইচই বাঁকুড়ায়

যে ঘুষ নেয় আর যে ঘুষ দেয়, দু’জনেই সমান অপরাধী। ঘুষ নিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গতকাল, সোমবারই চারজন শিক্ষককে জেলে হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতে সিবিআই তাদের সাক্ষী হিসেবে পেশ করেছিল বটে, তবে আদালত তাদের অভিযুক্ত করেছে।
এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আরও ৭ জন শিক্ষককে তলব করেছে সিবিআই। এই চারজনকেও সাক্ষী হিসেবে তলব করেছে সিবিআই। আগামীকাল, বুধবার এই ৭ শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন ডেকে পাঠানো হল এই ৭ জনকে?
২০১৪ সালে টেট পাশ করে চাকরি পেয়েছিলেন এই সাত শিক্ষক। তবে সিবিআইয়ের সন্দেহ, এই সাত শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঠিকমতো হয়নি। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার ঘটনা নতুন নয়। সেই কারণেই এই তলব। আর এই খবরে বাঁকুড়ার শিক্ষক মহলে জোর হইচই পড়েছে।
কী জানিয়েছে সিবিআই?
যে সাত শিক্ষককে সিবিআই ডেকেছে তাদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, জাতি শংসাপত্র ইত্যাদি নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে ওই সাত জন শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে সিবিআই সমস্ত নথি মিলিয়ে দেখতে চায়।
বলে রাখি, বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের সাক্ষী নয়, অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিচারকের বক্তব্য ছিল, ওই শিক্ষকেরা তো নিজেরাই গিয়ে টাকা দিয়েছেন, কেউ তো টাকা বাড়িতে এসে নিয়ে যায়নি। তাঁদের গ্রেফতার করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। মুর্শিদাবাদের সেই চার শিক্ষকের নাম জাহিরউদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল, সাইগার হোসেন ও সীমার হোসেন। তারা ৫-৬ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।