তৃণমূল নেতার গায়ে পুলিশের পোশাক, তুমুল বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে, ছবি ভাইরাল হতেই তৃণমূল নেতার সাফাই, ‘এই ছবি আমার নয়’

তৃণমূল নেতার গায়ে পুলিশের পোশাক (police uniform)। সেই ছবি ভাইরাল (viral photo) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক। অভিযোগ, যে তৃণমূল নেতার (TMC leader) ছবি ভাইরাল হয়েছে তার বিরুদ্ধে বেআইনি ব্যবসা-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী-সহ একাধিক প্রশাসনিক দফতরে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুরে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার নাম শেখ ফিরোজ ওরফে দানী। জামালপুরের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তিনি। তার বিরুদ্ধে একদিকে যেমন বিরোধী নেতারা নানান অভিযোগ তুলেছেন, তেমনই আবার শাসক দলের একাংশও অভিযোগ তুলেছেন তার বিরুদ্ধে। আর এবার সেই শেখ ফিরোজের গায়েই পুলিশের উর্দি কীভাবে উঠল? আর তা পরে ছবিই বা কেন তোলা হল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
জানা গিয়েছে, জামালপুরের চক্ষণজাদী, বেরুগ্ৰাম, চলবলপুর, হাবাসপুর, কামালপুর, দাদপুর, সারাংপুর, শিয়ালী, মুইদিপুর কোড়া বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ঘাট তৈরি করে বালি পাচার চলছে। এলাকাবাসী থেকে বিরোধীদের অভিযোগ, শেখ ফিরোজের নেতৃত্বেই এই অবৈধ কারবার চালানো হচ্ছে। আর এই ব্যাপারে একেবারে নিশ্চুপ প্রশাসন। আর এবার আবার পুলিশের পোশাকে তৃণমূল নেতার এই ছবি ভাইরাল জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পাল বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে শেখ ফিরোজের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ পাঠিয়েছি। ফেসবুকে তাঁর পুলিশি পোশাকে ছবি আমিও দেখেছি। আমরা চাই প্রশাসন ব্যবস্থা নিক”।
এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা অজয় ডকাল বলেন, “আসলে তোলা আদায়ের সুবিধার জন্যই পুলিশের পোশাক পড়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজেকে জাহির করছে। আমরা চাই পুলিশ প্রশাসন ওনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক”।
এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে এক সংবাদমাধ্যমের তরফে শেখ ফিরোজের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়। সমস্ত অভিযোগ, বিতর্ক উড়িয়ে তিনি বলেন, “এই ছবি আমার নয়। আমাকে বদনাম করার জন্য তৃণমূলের একাংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব করছে”।