আব্বাসকে যেতে দেব না! ভাঙ্গড়ের আসনটিও উঠল সেকুলার ফন্টের হাতে, নজিরবিহীন আত্মত্যাগ বাম শিবিরের

প্রথমে নন্দীগ্রাম এবার ভাঙ্গড়। একের পর এক দুর্গ ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফন্টের হাতে তুলে দিচ্ছে বাম দল। ভাঙড় একসময় লাল দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল। আর এবার একুশের মহাযুদ্ধে সেখানে উড়বে ইন্ডিয়ান সেকুলার দলের পতাকা।
যে কোনও ভাবেই আব্বাসকে সন্তুষ্ট রাখতে চাইছে জোট শিবির। আর তাই ভাঙড় আসনটিও আইএসএফ-এর হাতে তুলে দিচ্ছে আলিমুদ্দিন।
আপাত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভাঙড়ের ওই আসন থেকে আব্বাস সিদ্দিকীর ভাই নওসাদ সিদ্দিকী আইএসএফ-এর প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় ওই আসনটি নিজের দখলে রেখেছিলেন সিপিএম-এর দাপুটে নেতা রেজ্জাক মোল্লা। কিন্তু ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে হঠাৎই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। আর সেই আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। রেজ্জাক মোল্লা যাওয়ার পর থেকেই ভাঙড়ে বামেদের শক্তিক্ষয় হয়েছে।
তবে নন্দীগ্রামের মতো এই আসনটিও ছেড়ে দেওয়ার পিছনে যথেষ্ট অঙ্ক কষছে বাম শিবির। কারণ ভাঙড় একটি অত্যন্ত সংখ্যালঘু প্রবণ বিধানসভা অঞ্চল। ওই বিধানসভা কেন্দ্রে বর্তমানের তৃণমূল বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লার যেমন ভালো প্রভাব রয়েছে, তেমনই তৃণমূলের নেতা আরাবুল ইসলামেরও প্রভাব রয়েছে। তবে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে কামড় বসাতে এবার আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী ওই বিধানসভা এলাকায় নিজেদের প্রার্থী দিতে চাইছে। এমনকি তিনি ওই বিধানসভা জয়েরও আশা দেখছেন। সেই কারণে এবার নিজের ভাইকেই ওই বিধানসভায় দাঁড় করাতে চান তিনি।
২০১১ থেকেই রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটাররা বামেদের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। আর সেই সংখ্যালঘুদের ভোট ফিরে পেতে এবার আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করার জন্য উৎসাহী বামেরা। এছাড়াও বামেদের পাশে রয়েছে কংগ্রেসও। আর সংখ্যালঘু ভোট পেতে দুই হেভিওয়েট শিবিরেরই এখন রাজনীতির ময়দানে নবাগত আব্বাসের দিকে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার অবস্থা! আর এই অবস্থার সদ্ব্যবহার একের পর এক বড় বড় আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী।