বীভৎস! পাশেই পড়ে স্কুল ব্যাগ, পরনে স্কুলড্রেস, পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার নাবালিকার থেঁতলানো দেহ, গ্রেফতার স্কুল ছাত্র

পরিত্যক্ত এক ঘর থেকে উদ্ধার হল এক নাবালিকা ছাত্রীর থেঁতলানো দেহ। জঙ্গলের ভিতরের এক ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। স্থানীয়দের অনুমান, ইট দিয়ে মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে নাবালিকার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল, সোমবার মাটিগাড়া থানা এলাকায়।
দেহ উদ্ধারের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এক স্কুল ছাত্রের সঙ্গে শেষবার দেখা গিয়েছিল ওই ছাত্রীকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ওই ছাত্রকে। রাতেই ওই মূল অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কী ঘটেছে ঘটনাটি?
জানা গিয়েছে, গতকাল, সোমবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ মাটিগাড়ার খাপরাইল এলাকার পরিত্যক্ত ঘর থেকে বছর ১৪-র নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরনে ছিল স্কুল ড্রেস। দেহের পাশে ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পাশে একটি ইটও পড়েছিল। মনে করা হচ্ছে, ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
কী জানাচ্ছেন স্থানীয়রা?
স্থানীয়দের কথায়, ওই ছাত্রীকে যেখানে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে লোকজন সাধারণত যায় না। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলে যে এদিন বিকেলে মেয়েটির চিৎকার শুনতে পান তিনি। এরপরই এলাকার লোকজন জড়ো করে সেখানে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে পড়ে থাকতে দেখলেও সঙ্গে কাউকে দেখেননি বলেই জানান তিনি। ছাত্রীর পরণে যে স্কুল ড্রেস ছিল, তার সূত্র ধরেই পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। কীভাবে ওই ছাত্রী সেখানে পৌঁছল, কেনই বা সেখানে গিয়েছিল সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা স্কুল ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সে ওই নাবালিকাকে ওই জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল কী না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই ঘটনায় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমি ধূপগুড়ি থেকে ফিরছিলাম। রাস্তায় খবর পাই একটি বাচ্চা মেয়েকে থেঁতলে মারা হয়েছে। একটি জঙ্গলে পরিত্যক্ত ঘরে মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্কুলের পোশাক পরা ছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কোনও স্কুলে পড়ত বলেই শুনেছি। এরকম শিলিগুড়ি আমি দেখিনি। এর আগে এক মহিলাকে ঘরের মধ্যে খুন করা হল। এরপরই এই ঘটনা। শিলিগুড়ির পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ”।