মমতা বুঝেই গিয়েছেন যে তাঁকে জেলে যেতে হবে, লালুপ্রসাদের পরিণতি হবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

ক্রমশ প্রকট হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। এর আগেই কোনও দলই একে অপরকে আক্রমণ শানাতে সামান্য কসুরও করছে না। ক্ষমতা জেতার লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার পালা চলছে। একদল নতুন করে ক্ষমতায় আসার ও অন্য দল নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার দৌড়ে নেমেছে। এরই মধ্যে একে অপরকে শানাতেও বাদ যাচ্ছেন কেউই। এবার ফের একবার শিলিগুড়ি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেলাগাম আক্রমণ শানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আজ, বুধবার শিলিগুড়িতে ‘চায় পে চর্চা’-তে যোগ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি শানালেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, বাংলার কিছু মানুষেরও লালুপ্রসাদ যাদবের মতো অবস্থা হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর পশুখাদ্যের কেলেঙ্কারির জেরে লালুপ্রসাদকে জেল খাটতে হয়েছিল।
এদিন সকালে ফুলবাড়ি থেকে উত্তরকন্যা পর্যন্ত মিছিল করেন দিলীপ ঘোষ। এরপর ‘চায় পে চর্চা’-তে যোগ দিয়ে বলেন যে মমতা কী এখনই বুঝে গিয়েছেন নাকি তাঁকে জেলে যেতে হবে? তিনি কী জেল থেকে দলকে জেতাবেন?
এরপরই মমতাকে তীব্র হুঁশিয়ারি শানিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “বাংলার অনেকেরই লালুপ্রসাদের মতো অবস্থা হবে। লালুপ্রসাদ ভেবেছিলেন তাঁর কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন। যতদিন খুশি রাজত্ব করবেন। কিন্তু তাঁকে মানুষ তাঁর আসল জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছে। বাংলাতেও লালুপ্রসাদের মতো মানুষ রয়েছে”। এই কথার আড়ালে যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই পরোক্ষভাবে বোঝাতে চাইলেন, তা বেশ স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৫ বছর রাজত্ব করার পর নিতীশ কুমারের জেডিইউ-এর কাছে হেরে গিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন লালুপ্রসাদ। এরপর পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জেল হয় তাঁর। এর জেরে তাঁর ভোটে লড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আদালতের এই নির্দেশকে লঘু করতে তৎকালীন ইউপিএ সরকার একটি বিল পেশ করার চেষ্টাও করে। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে সেই বিলকে অগ্রাহ্য করে তা ছিঁড়ে ফেলেন রাহুল গান্ধী।