রাজ্য

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল, চাকরি বাতিল হওয়া ৩২০০০ শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ পর্ষদকে, চাকরি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা

গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল প্রাথমিকে ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি। সেই ঘটনায় গোটা রাজ্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। বিচারপতি এও নির্দেশ দিয়েছিলেন যে তিনমাসের মধ্যে পর্ষদকে এই শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আজ, শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। এর পাশাপাশি তিনমাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

তবে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি নির্দেশের উপর। বিচারপতি ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি এও নির্দেশ দিয়েছিলেন যে আগামী তিনমাস এই শিক্ষকরা পার্শ্ব শিক্ষকের বেতন পাবেন। এদিন তাঁর এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিয়মমাফিক বেতনই পাবেন।

বলে রাখি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এও নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যাদের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়েছে, তারা অবশ্যই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারেন।

এই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আইনজ্ঞরা বলছেন, ডিভিশন বেঞ্চের মতে, এখনই চাকরি বাতিল হচ্ছে না সম্পূর্ণভাবে। চাকরি করতে করতেই ওই শিক্ষকরা অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট দিতে পারবেন। এই গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি হবে। তবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি শিক্ষকরা উত্তীর্ণ না হন, তাহলে কী হবে? সেক্ষেত্রে কী চাকরি বাতিল হয়ে যাবে তাদের সম্পূর্ণভাবেই নাকি ফের অন্য কোনও নির্দেশ জারি হবে সেই শিক্ষকদের জন্য?

Back to top button
%d bloggers like this: