রাজ্য

‘এতটা একদমই ভাবতে পারিনি’, ফলাফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া মাধ্যমিকে প্রথম দেবদত্তার, পুরো কৃতিত্বই মা-কে দিলেন পড়ুয়া

আজ, শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিকের ফলাফল। পরীক্ষার ৭৬ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করল পর্ষদ। এবারের মাধ্যমিকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০০ র মধ্যে ৬৯৭ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দেবদত্তা মাজি। কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সে।

মেধা তালিকায় প্রথমে নাম উঠে আসায় খুশি যেন বাঁধ মানছে না দেবদত্তা ও তার পরিবারের। দেবদত্তার কথায়, “ভালো ফল হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু তা যে এতটা সেটা একদমই ভাবিনি”। দেবদত্তার মা শেলি দাঁ কাটোয়া দুর্গা দাসী চৌধুরানী বালিকা বিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। আর তার বাবা আসানসোলে কলেজে পড়ান। পড়াশোনা নিয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে দেবদত্তার।

নিজের এই সাফল্যের গোটা কৃতিত্বই মা-কে দিয়েছেন দেবদত্তা। তার কথায়, “আমার মা পুরোটা গাইড করেছেন আমাকে। মায়ের অবদান অনেক”। দেবদত্তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। সেই লক্ষ্যেই পড়াশোনা করতে চায় সে। এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সে। পাড়ার মেয়ের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দেবদত্তার পাড়া-প্রতিবেশীরাও।

বরাবরই মেধাবী ছাত্রী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত দেবদত্তা। টেস্টেও দারুণ রেজাল্ট করেছিলেন। আর এবার সেই টেস্টের রেজাল্টকেও ছাপিয়ে গিয়ে তাঁর মাধ্যমিকে অনবদ্য রেজাল্ট। দেবদত্তার কথায়, তিনি আশা করেছিলেন, ৬৮০ থেকে ৬৯০-এর মধ্যে কিছু একটা নম্বর পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এই আশাতীত ফল হওয়ায় উচ্ছ্বসিত দেবদত্তা।

প্রসঙ্গত, এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৩২১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮ পাশ করেছে। এই বছরের মার্কশিটে ওভারঅল গ্রেড থাকছে। মোট নম্বরের জেনারেল পারফর্ম্যান্সও থাকছে। প্রত্যেক মার্কশিট ও সার্টিফিকেটে কিউআর কোড থাকছে।

জেলার মধ্যে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর, দ্বিতীয় কালিম্পং, তৃতীয় কলকাতা। ৯৬.৮১ শতাংশ পূর্ব মেদিনীপুর। কালিম্পং ৯৪.১৩ শতাংশ। কলকাতা ৯৩.৭৫ শতাংশ, পশ্চিম মেদিনীপুর ৯২.১৩ শতাংশ। সার্বিক পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ।

Back to top button
%d bloggers like this: