শেষ বয়সে কী না হাতি খেদানোর কাজ! সরকারের উপর ক্ষোভ উগড়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বন আধিকারিক

পরের বছরই অবসর (retirement) নেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেই কারণে চাকরি জীবনের শেষ ক’টা দিন মনে হয় একটু শান্তিতেই কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হল কোথায়! শেষে তাঁকেই কী দেওয়া হল হাতি খেদানোর কাজ? এই বয়সে এসে গ্রামে গ্রামে ঘুরে হাতি তাড়ানোর কাজ করতে চান নি তিনি। সেই কারণে এবার তুমুল চটে গিয়ে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন দলগাঁও বন্যপ্রাণী শাখার বিট অফিসার (forest officer) জগন্নাথ সাহা (Jagannath Saha)।
গতকাল, বুধবার বিকেলে ঘাসফুলের হাত ছেড়ে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন ওই বন আধিকারিক। প্রসঙ্গত, এতদিন ধরে দলগাঁও বন বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন জগন্নাথ সাহা। আর চাকরির শেষ জীবনে এসে তাঁকে কী না দেওয়া হল হাতি খেদানোর কাজ? এই ব্যাপারটা খুবই অসম্মানজনক বলে মনে করছেন জগন্নাথবাবু।
তাঁর বক্তব্য, আর এক বছর পরই অবসর নেবেন তিনি। আর এখন বন বিভাগের অন্য শাখায় না দিয়ে, বন্যপ্রাণী শাখায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে জগন্নাথবাবুকে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে কোথায় হাতি ঢুকেছে, কোথায় হাতি তাণ্ডব করছে, সেইসব দেখেশুনে হাতি তাড়াতে যেতে হবে তাঁকে। ষাট বছর বয়সে এসে এত লাফাঝাঁপি কী শরীর সইতে পারবে! সেই কারণে মনের দুঃখে প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়েই এমন বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন জগন্নাথবাবু।
জগন্নাথ সাহার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী জানান, “তৃণমূলে আর নও ভদ্রলোক থাকতে চাইছেন না। তাই সব দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করছে। আর আজ একজন বন দফতরের আধিকারিক সরকারি সংগঠনের উপর বিরক্ত হয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন”।
তবে সরকারি সংগঠনের উপর এভাবে ক্ষোভ বর্ষণ করায় দলীয় নেতৃত্ব বেশ বিরক্ত হয়েছে জগন্নাথবাবুর উপর। শাসক দল প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী সংগঠনের জেলা সভাপতি সঞ্জয় সিংহ এই বিষয়ে বলেন, “জগন্নাথবাবু যা করেছেন তা নিয়ম-নীতি বিরুদ্ধ। ওঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্য়বস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হবে”।