রাজ্য

WB Election 2021: হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চলেছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল! বদলাচ্ছে নন্দীগ্রামে ভোটের অঙ্ক

এবারের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র হতে চলেছে নন্দীগ্রাম। যার অন্যতম কারণ শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান। নন্দীগ্রামের তৃণমূলের ইতিহাসে শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম নাম ছিলেন। তাঁর দলত্যাগে নিঃসন্দেহে প্রভাব পড়েছে জেলা তৃণমূলে। আর তাই স্পর্শ কাতর নন্দীগ্রাম থেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার ওই আসনটির লড়াই আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে ছেড়ে দিল বামেরা বলে সূত্রের খবর।

আপাত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিতে চলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তার জেরে এক ধাক্কায় বদলে যাচ্ছে নন্দীগ্রামের ভোটের সমীকরণ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের আসন রফা চূড়ান্ত। আর এর মধ্যেই বড় ঘোষণা বাম শিবিরের। সেই ১৯৫১ সাল থেকে নন্দীগ্রাম আসন বামেদের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। সেই ধারায় এবার ইতি। সূত্রের খবর, আসনটি আব্বাস সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিয়েছে সিপিআইএম। নন্দীগ্রামে ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘুর বাস। ফলে, আইএসএফ প্রার্থী দিলে তা তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। ১৯৫১ সাল থেকে নন্দীগ্রামে ৯বার জিতেছে সিপিআই। সিপিএম জিতেছে ১ বার। কংগ্রেস ৬ বার জিতেছে। ২০০৯ সালের উপনির্বাচন থেকে নন্দীগ্রামে জিতে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে আসন ছেড়ে দেওয়ার পিছনে যথেষ্ট অঙ্ক কষেছে বামেরা। নন্দীগ্রামে প্রায় ৪০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ওই ভোট যে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে তা নন্দীগ্রামের সভায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল শুভেন্দুর ভাষণে। বিজেপি নেতা বলেছিলেন, ‘পদ্ম তো ২ লাখ ১৩ হাজারের ভরসায়। যাঁরা জয় শ্রী রাম বলেন, তাঁরাই ২ লক্ষ ১৩ হাজার। ৬২ হাজারেও সিঁধ কাটব।’ স্বাভাবিকভাবে, আইএসএফের প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণায় উঠছে নানা প্রশ্ন। আব্বাস সিদ্দিকী প্রার্থী দিলে সংখ্যালঘু ভোটভাগ কি হবে? তার ডিভিডেন্ড কি পাবে বিজেপি? সেই ইঙ্গিত দিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার চেষ্টাও কেউ কেউ করতে পারেন।’

তবে এখন‌ও জানা যায়নি নন্দীগ্রাম থেকে বিজেপির মুখ কে হতে চলেছেন? তবে বলা যেতেই পারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রের দিকে বিশেষ নজর থাকবে সবার।

Back to top button
%d