মোদীর নজরে চুঁচুড়ার ‘বন্দেমাতারাম ভবন’, জাতীয় সংগীতের স্রষ্টার জন্মভিটেই পরবর্তী লক্ষ্য নাড্ডা’র

পরে স্বীকৃতি হিসেবে এই চুঁচুড়া শহরেই নির্মাণ হয় ‘বন্দেমাতারাম ভবন’। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আবহে এবার বাঙালির ঐতিহ্য, গর্বই মূল অস্ত্র হতে চলেছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির কাছে।
গতকালই হুগলীর সাহাগঞ্জের মাঠে চুঁচুড়ার ‘বন্দেমাতারম ভবন’ নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, তিনি শুনেছেন এই ভবনে পাঁচ বছর ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। এখন এই ভবনের অবস্থা নাকি খুবই খারাপ। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য এ ক্ষেত্রেও তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। যদিও তৃণমূলের দাবি চুঁচুড়ার ওই ভবন রক্ষণাবেক্ষণ করছে চুঁচুঁড়া পুরসভা। তিনজন কেয়ারটেকার ভবনটির দেখাশোনা করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী বঙ্কিম-নাম নেওয়ার পরেই এবার বিজেপির তরফে অধিক গুরুত্ব পেতে চলেছেন ভারতের জাতীয়় সংগীতের স্রষ্ঠা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
জানা গেছে এবার নাড্ডার নৈহাটি যাত্রায় জুড়ছে বঙ্কিমের বাড়িও। বিদ্যাসাগর, স্বামী বিবেকান্দ, রবীন্দ্রনাথের পর এবার ভোট তালিকায় স্থান পেলেন বঙ্কিমচন্দ্র।প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী
আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নৈহাটি কর্মসূচিতে ঢুকতে চলেছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভিটেও। শুধু বঙ্কিমই নন, সূত্রের খবর নৈহাটিতে জন্ম এমন একঝাঁক বাঙালি মনীষাকে শ্রদ্ধা জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে জে পি নাড্ডার।
জানা গেছে অনুযায়ী, নৈহাটিতে নাড্ডার শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের তালিকায় যুক্ত হয়েছে মঙ্গল পান্ডের সমাধি ও বিভূতিভূষণের বাড়ি। এই তালিকায় জুড়তে পারে বামপন্থী কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের নামও। চুঁচুড়া শহরের অপর পার নৈহাটিতেই মামাবাড়িতে জন্মেছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর নাড্ডা শ্রদ্ধা জানাতে চান সুকান্তকেও। অন্য দিকে বিভূতিভূষণের বউমা দিন কয়েক আগেই বাসভবনের পাশে একটি বহুতল ওঠা নিয়ে অভিযোগ জানান। শোনা যাচ্ছে বিভূতি ভিটেতেও পা পড়তে পারে নাড্ডার।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাঙালির মন পেতে বাঙালি-মনীষা বন্দনায় ঝুঁকেছে বিজেপি। বিবেকানন্দ’র জন্মজয়ন্তী থাকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্মজয়ন্তী বাঙালি অস্মিতায় নিজেদের জুড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ‘বহিরাগত’ বিজেপি নেতারা!