‘হিন্দু বিরোধী, ভারত বিরোধী মমতা, ছবি ব্যান করে কী লুকোতে চাইছেন’, বাংলায় ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিষিদ্ধ করায় মমতাকে তীব্র তোপ লকেটের

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি নিয়ে বিতর্ক উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবিকে গতকাল, সোমবারই বাংলায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গই প্রথম কোনও রাজ্য যেখানে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। মমতার এই নির্দেশের জেরে তাঁকে ‘ভারত বিরোধী’, ‘হিন্দু বিরোধী’ দলে তোপ দাগলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
মমতার নির্দেশের পর লকেট মমতাকে ‘মহিলা বিরোধী’ বলে কটাক্ষ করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলেন, “এই সিনেমাটি আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন নিয়ে, অন্য কিছু নয়। এর অর্থ, এই সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তিনি কিছু লুকোতে চাইছেন”।
লকেট আরও বলেন, “বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের তৈরি সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাঙালিদের নামে ভোট চান তবে মুসলিমদের নিয়ে তৈরি একটি সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাঁর মুসলিম ভোট ব্যাঙ্ক যাতে অটুট থাকে, এর জন্য এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি”।
#SaveOurDaughters #TheKeralaStory pic.twitter.com/DOh1FKscNi
— Locket Chatterjee (@me_locket) May 8, 2023
গতকাল, সোমবার ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই কেরালা স্টোরি, কাশ্মীর ফাইলস কিছু মানুষকে অসম্মান করার জন্য়ই তৈরি হয়। আমি সিপিআইএমকে সমর্থন করছি না। আমি মানুষের কথা বলছি। আমি সিপিএম পার্টির কথা বলছি না। কারণ, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে কাজ করছে। এটার সমালোচনা তো তাঁদেরই করা উচিত। কিন্তু তাঁরা তো বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। আমি সে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, তাঁর পার্টি বিজেপিকে সাহায্য করছে। আর সেই কারণেই কেরালা স্টোরি তৈরি হচ্ছে বিকৃত তথ্য নিয়ে”।
মমতার এই ঘোষণার পরই তাঁকে তোপ দাগতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আইন শৃঙ্খলা সামলানোর ক্ষমতা নেই। সিনেমা একটা বাহানা মাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্লোগান হচ্ছে অন্ধেরা কায়েম রহে। সত্যের মুখোমুখি হবেন না। সত্য কাউকে জানতে দেবেন না। যে সিনেমাটা তৈরি হয়েছে সেন্সর বোর্ড তাকে অনুমোদন দিয়েছে। সারা দেশে দেখানো হচ্ছে। বাংলায় কেন দেখতে পাবে না লোকেরা। আর যদি আপত্তি থাকে তাহলে আদালতে যেতে পারেন। আপনি কীসের প্রশাসক? একটা সিনেমার জন্য আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হয়ে যাবে? আইন কানুন আছেটা কোথায় পশ্চিমবঙ্গে? নিষিদ্ধ করার রাজনীতির বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলন হয়েছে, সিনেমা হয়েছে। সেখানেই সিনেমাকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে”।