রাজ্য

‘দূর দূর করে তাড়ানো উচিত, রাজ্যপাল না হরিদাস পাল, এখনও শয়তানের খেলা দেখেন নি’, রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ মদনের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা রাজ্যেই। এর মধ্যে ভাঙড় অন্যতম। গোলাগুলি, বোমাবাজি, মৃত্যু কিছুই বাদ যায়নি সেখানে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর সেই সফরের পরই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে বেলাগাম আক্রমণ শানালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।

বাংলা শেখার আগ্রহে গত সরস্বতী পুজোয় নিজের বাংলায় হাতেখড়ি অনুষ্ঠান করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভাঙড়ের পরিস্থিতি পরিদর্শন নিয়ে রাজ্যপালকে খোঁচা দেন মদন মিত্র। বলেন, “মনে হল বিদ্যাসগর আজকে স্বপ্নে বললেন, কাকে হাতেখড়ি দিলে? অ-আ-ক-খ না শিখিয়ে, ওকে তো খুন এবং কীভাবে খুনের প্লট সাজাতে হয়, সেটা শেখানো উচিত ছিল। রাজভবনে থাকেন, অথচ নজর ভাগাড়ে। রাজ্যপাল যা পারবেন, করে নেবেন মদন মিত্রের বিরুদ্ধে। একবার মণিপুরে চলুন, মৃতদেহ শুধু ভাঙড়ে চোখে পড়ছে? ইন্ধন জোগাচ্ছেন? হেমেন মিত্র হতে চাইছেন? আমার ক্ষমতা থাকলে এই রাজ্যপালকে বিজেপির সভাপতি, গুন্ডা মাফিয়ার চেয়ারম্যান করে দিতাম”।

এদিন মদন এও বলেন, ভাঙড়ে নতুন করে যদি অশান্তি হয়, তাহলে রাজ্যপালকেই তার দায় নিতে হবে। তিনি বলেন, “দূর দূর করে বিতাড়িত করা উচিত। শয়তানের খেলা আপনি দেখেননি, এই তো শুরু। রাজ্যপালের উসকানিতে ভাগাড়ে যত লাশ যাবে, তার ভূমিকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর থাকবে, দায়িত্ব নিতে হবে। রাজ্যে আর একটা খুন হলে, রাজ্যপালকে ওই মামলার পার্টি করা উচিত। ৩০৪, ৩০৮ ধারা ধারা দেওয়া উচিত। রাজ্যপাল না হরিদাস পাল! ওর থেকে পরেশ পালের স্ট্যান্ডার্ড ভালো”।

এমনকি, সিবিআই-ইডি দিয়ে রাজভবন তল্লাশিরও পরামর্শ দেন মদন। বলেন, “রাজ্যপালের বাড়িতে তল্লাশি করুন। প্রচুর বোমা পাওয়া যাবে। শেষ কথা বলবে তৃণমূল। আমি বলে দিলাম, ১১ জুলাই প্রথম যিনি পদত্যাগ করবেন, তিনি এই রাজ্যপাল”।

Back to top button
%d bloggers like this: