শাশুড়ি-জামাতার গৃহযুদ্ধের জের! পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে বিধায়ক শাশুড়িকে দুষলেন তৃণমূল নেতা, দল ছাড়ছেন সাবিত্রী মিত্রের জামাই?

শাশুড়ি ও জামাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে মালদহের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহের জেলা পরিষদ ২৮ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের জামাতা সোমদীপ সরকারের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে দেখা যায়, ওই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি কবিতা মণ্ডলকে। আর এরপরই বিধায়ক শাশুড়ির উপর কার্যত ক্ষোভ উগড়ে দেন সোমদীপ। তাঁর দাবী, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে জামাইয়ের এহেন অভিযোগে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক।
এই সোমদীপ সরকার হলেন তৃণমূলের মালদহ জেলার সাধারণ সম্পাদক। তাঁর শাশুড়ি সাবিত্রী মিত্র মানিকচকের বিধায়ক। সোমদীপের দাবী, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূলের কর্মী হিসেবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন তিনি। এক বছর ধরে মানিকচক বিধানসভার জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের ৪টি অঞ্চলে বুথ কমিটি গঠন থেকে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার মূল দাবীদার তিনিই ছিলেন। কিন্তু বিধায়ক শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর পারিবারিক বিবাদের ফলে প্রার্থী করা হয়নি তাঁকে, এমনটাই অভিযোগ সোমদীপের।
তৃণমূল নেতার কথায়, “পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে গত এক বছর ধরে আমাদের চারটি অঞ্চলে পড়ে থেকেছি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থিতালিকার এক বারে শেষ দিনে গিয়ে জানতে পারলাম যে আমার নাম নেই। এক কথায়, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি (তৃণমূলের) আমার নাম বাদ দিয়েছে”।
এখানেই শেষ নয়, সোমদীপ আরও বলেন, “কেন টিকিট পাইনি, জানি। তবে তৃণমূলের এক জন সৈনিক হিসেবে দলে থাকব”।
তাঁর কথায়, তাঁকে প্রার্থী না করায় তাঁর অনুগামীরা যারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছেন, তারা নিজেদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানাচ্ছেন। তিনি জানান যে তিনি তাদের তৃণমূল সৈনিক হিসেবে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ মানিকচকের বিধায়ক তথা সোমদীপের শাশুড়ি।