‘দাদার ডাকে এসেছি, দাদা সব মনস্কামনা পূর্ণ করে দিয়েছেন’, নীলষষ্ঠীতে মদনের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর গিয়ে বললেন কৌশানি

যে কোনও উৎসবেই তিনি ফুল সেলিব্রেশনের মুডেই থাকেন। আনন্দে মেতে থাকার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করেন না তিনি। তৃণমূলের ‘কালারফুল’ বিধায়ক বলে কথা! নীলষষ্ঠীর দিনও সেই একই মেজাজে ধরা দিলেন কামারাহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এদিন দক্ষিণেশ্বরে (Dakshineswar) গিয়ে গঙ্গা স্নান সেরে দিলেন পুজো। এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা গেল তৃণমূলের তারকা সদস্য তথা অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায়কেও (Koushani Mukherjee)।
উৎসব আনন্দে মেতে থাকলেও কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হন নি বিধায়ক। এদিন ঠিকই তাঁর মুখে শোনা গেল পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা। এদিন মদনের বার্তা, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফাঁকা গোলে নির্বাচন হবে, খেলায় ট্রাইবেকার হচ্ছে গোলকিপার নেই। তাহলে আমি কাকে মারব? আরেকটা হয় যে আমি বিজেপির এজেন্ট সেজে বুথে বসে ওদের হয়ে কাজ করি। আসলে ওদের তো কেউ নেই ভোট করানোর”।
নীল ষষ্ঠীর দিন মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দিয়ে কী প্রার্থনা করলেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “বাংলার উপর থেকে যেন সমস্ত বঞ্চনা দূর হয়। কেন্দ্রের অত্যাচার যেন বন্ধ হয়ে যায়। এসবই প্রার্থনা করলাম। মানুষ যাতে শান্তিতে এখানে থাকতে পারে, তাও বললাম মায়ের কাছে”।
নীলষষ্ঠীর দিন দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে পুজো দিতে গিয়ে মদনের সঙ্গী হয়েছিলেন কৌশানি মুখোপাধ্যায়। এদিন সাধারণ সালোয়ার-কামিজ, চোখে রোদচশমাতে তাঁকে নায়িকা কম সাধারণ মেয়ের মতোই লাগছিল। এমন এক বিশেষ দিনে নীলষষ্ঠীর দিন মা ভবতারিণীর কাছে পুজো দিতে পেরে বেশ আনন্দিত তিনি। এদিন সকলে অভিনেত্রীকে এত কাছে পেয়ে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে। কৌশানিও সেই আবদার মেটান হাসিমুখে।
এদিন অভিনেত্রী বলেন, “দাদার ডাকে এসেছি। এই আজকের দিনে এভাবে পুজো দিয়ে খুব ভাল লাগল। আমি এ ধরনের অনুষ্ঠানে প্রথমবার অংশ নিলাম। তবে দেখে মনে হচ্ছে, দাদা যতক্ষণ আছেন, ততক্ষণ কোনও চিন্তা নেই। তিনি আমার সমস্ত মনস্কামনা পূর্ণ করে দিয়েছেন। এখানকার মানুষ ভাল আছেন”।