রাজ্য

বঙ্গ রাজনীতি থেকে ‘উধাও’ দীপ্সিতা, ঐশী! গেলেন কোথায় বামেদের দুই তরুণ তুর্কি? এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন মহম্মদ সেলিম

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একঝাঁক তরুণ মুখ সামনে আনে সিপিএম (CPM)। লাল ঝাণ্ডা হাতে বিরোধীদের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছিল বামেদের এই তরুণ তুর্কিরা। এদের মধ্যে ঝড় তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee), বালির দীপ্সিতা ধর (Dipsita Dhar) ও জামুড়িয়ার ঐশী ঘোষ (Aishee Ghosh)। বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে মীনাক্ষীর দেখা মিললেও, কার্যত ‘নিরুদ্দেশ’ দীপ্সিতা ও ঐশী। কোথায় গেলেন এই দুই কন্যে?

রাজনীতি থেকে এখন একটু দূরে দীপ্সিতা ও ঐশী। একজন ব্যস্ত পড়ানোর কাজে আর অন্যজন ব্যস্ত এমফিল নিয়ে। দু’জনেই বর্তমানে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত। আর এই কারণে রাজনীতির আঙিনায় খুব একটা দেখা মিলছে না তাদের। আর এসবের মধ্যেই তাদের বর্তমান অবস্থান নিয়ে নানান প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছে।

দীপ্সিতার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নানান গুঞ্জন উঠলে তিনি জানান যে নির্বাচনের পরও তিনি কর্মীদের সঙ্গে নিজের এলাকায় কাজ করেছেন। দিল্লি থেকে দীপ্সিতা বলেন, “আমাদের তো নির্বাচন অনুযায়ী কোন সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয় না। ফলে আমি যখন প্রার্থী হয়েছিলাম, তখন সেখানকার গণসংগঠনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের পরামর্শেই কাজ করেছি”।

তিনি এও জানান যে তিনি বাংলা বা দেশে সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন দীপ্সিতার কথায়, “প্রার্থী করা হয়েছিল বলেই সেখানে গিয়ে আমি নেতৃত্বকে কোনও নির্দেশ দেব, সেটা তো আমাদের দলে হয় না”। তবে জুলাইয়ে বাংলায় ফিরে বালিতে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন দীপ্সিতা।

এই একই কথা শোনা গেল ঐশী ঘোষের মুখেও। তিনি বলেন, “জামুড়িয়ায় লড়াইয়ের পর বেশ কিছুদিন রেড ভলান্টিয়ার হিসাবেও কাজ করেছি ওখানে। তার পরে গবেষণার জন্য দিল্লি চলে আসায় সকলের সঙ্গে কাজ করতে পারছি না। তবে যত বার বাড়ি গিয়েছি, তত বারই জামুড়িয়ায় গিয়ে থাকার চেষ্টা করেছি”।

ঐশী এও জানান যে জামুরিয়াবাসীর প্রয়োজনে তিনি তাদের সঙ্গে থাকেন এবং পরামর্শ দিন বলেও উল্লেখ করেন ঐশী। তিনি আরও বলেন, “লেখাপড়া দ্রুত শেষ করে ওখানে যাব। যেখানে কাজটা ছেড়ে এসেছিলাম, সেখান থেকে যেন শুরু করতে পারি”।

এই বিষয়ে দীপ্সিতা ও ঐশী দু’জনকেই সমর্থন করেছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়, “সকলেই যে একই কাজ করবেন, তা তো নয়। আমরা স্টাডি অ্যান্ড স্ট্রাগলের কথা বলি। তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে আমরা খুবই আশাবাদী। কেউ গান বাঁধছেন, কেউ নাটক করছেন, কেউ ক্যান্টিন চালাচ্ছেন, কেউ রেড ভলান্টিয়ার্সের কাজ করছেন। ঐশী, দীপ্সিতারা লেখাপড়া করছেন। সেটাও তো প্রয়োজনীয়”।

এছাড়াও, ‘মিশন ৩৬০ ডিগ্রি’র কথাও এদিন জানান মহম্মদ সেলিম। সকলকে নিয়ে কাজ করাই এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। গ্রামাঞ্চলে নানান বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতার মধ্যেও দলের তরুণদের নিয়ে কাজ করার আশা করছে সংগঠন।

Back to top button
%d bloggers like this: