রাজ্য

‘মাথায় করে ইট বয়ে রাস্তা তৈরি করুন, দরকারে আমাকে ডাকবেন আমি বইব, আমি আগেও অনেক করেছি’, পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিদান মমতার

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। সেই কারণে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতকাল, বুধবার দুর্গাপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে সকলকে বেশ উৎসাহিতই করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে নির্দেশ দিয়ে বলেন যাতে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা পর্যন্ত শুধু মাত্র গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতিতেই নজর দেওয়া হয়।

নানান কাজের জন্য মোট খরচের ১৫ শতাংশ অর্থ এখন সরাসরি হাতে পায় জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। সেই কারণে এবার রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিকে গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন সভায় মমতা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যানরা শুনুন, গ্রামীণ রাস্তা তো তৈরি করতেই হবে। ১৫ টি কমিশন থেকে যে অর্থ পান তার ৫০ শতাংশ রাস্তা তৈরিতে কাজে লাগান। বাকি প্রকল্প আমরা দেখে নেব। গ্রামীণ যদি রাস্তা খারাপ থাকলে তাহলে কেউ ভোট দেবে না। ৫০ শতাংশ টাকা সেখানে খরচ করুন। গ্রামের রাস্তা যদি ভালো থাকে, তাহলে মানুষ খুশি হয়ে ভোট দেয়। দরকার পড়লে নিজের মাথায় করে ইট বইবেন। সাধারণ মানুষের জন্য এই কাজ করে মন ভালো থাকবে। আমি নিজেও একটা সময় ইট বয়ে গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছিলাম। প্রয়োজনে আমাকে ডাকবেন আমি ইট বইতে আসব”।

এর পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতি বরাদ্দ টাকায় রাস্তার কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান যে  তাদের যে সমস্ত অন্যান্য কাজ করার কথা, তা রাজ্য সরকার দেখবে। মমতা কথায়, “আপনাদের অন্য কাজ করতে হবে না। এখন শুধু রাস্তাটা করুন। অর্ধেক টাকায় রাস্তা করুন। বাকি টাকা অন্য খাতে খরচ করবেন”।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী এও জানান যে হঠাৎ করে যদি পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়, তাহলে কাজের সুযোগ থাকবে না। তাই যা করার এখনই করতে হবে। এদিনের এই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিধায়কদের ডেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন যে তাঁরা ধান বুনতে এবং ধান কাটতে পারেন কি না।

এরপরই মমতা বলেন, “তোমরা কী জান, আমি ধান বুনতে ও কাটতে পারি? আমারও কিন্তু একটা গ্রাম আছে। সবার থেকে ভাল ধান পুঁতে দেব। কেটেও দেব। ছোটবেলায় শীতকালে মামাবাড়ি যেতাম। যে ধান পড়ে থাকত সেটা জমাতাম। আগে গ্রামের দোকানে ধান দিয়ে জিনিস পাওয়া যেত। সেই জমানো ধান দিয়ে আমরা আলুর চপ খেতাম, চুলের ফিতে কিনতাম। আমি জানি না, এখনও এ রকম বিনিময় চলে কি না”।

Back to top button
%d bloggers like this: