‘টাকা দেরিতে এলে না দেওয়াই ভালো, কাজ করা যায় না’, ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরও কেন্দ্রকে তোপ মমতার

অবশেষে ১০০ দিনের কাজের (100 days work) বকেয়া টাকা রাজ্যকে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিল্লি সফরের মধ্যেই গতকাল, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে ফোন করে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার কথা জানান।
কিন্তু বছরের শেষে এই টাকা দেওয়ার ঘটনায় বেশ বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে কেন্দ্রের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, বছরের শেষে টাকা দিলে সময়মতো কাজ শেষ করা যায় না। কেন কাজ শেষ করা সম্ভব নয়, তাও ব্যাখ্যা করেন মমতা।
বছরের একেবারে শেষে এই টাকা দেওয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “অর্থবর্ষের দু-মাস আগে যদি টাকা ঢোকে, তাহলে সেটি কাজে লাগানো যায় না। দেরিতে টাকা না দেওয়া-ই ভাল। কোনও কাজে লাগানো যাবে না”।
নিজের এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডিপিআর, টেন্ডার করতে সময় লাগে। সময়ের মধ্যে টাকা না দিলে ডিপিআর, টেন্ডার করতেই দু-তিন মাস কেটে যায়। এরপর কাজ না হলে যে কেন্দ্র ছেড়ে কথা বলবে না”। মমতার কথায়, “কাজ না হলে আবার বলবে, টাকার ব্যবহার হয়নি”।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্র ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্যকে। এই গ্রামীণ আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করার জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মোট খরচের ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য ও ৬০ শতাংশ দেয় কেন্দ্র।
তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা সম্ভব কী না, তা নিয়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার। সময়ের মধ্যে যদি কাজ না শেষ হয়, তাহলে ফের বিরোধীরা সরব হবে। রাজ্যের আশঙ্কা এর প্রভাব পড়বে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপর। আর এর উপর বছরের শেষে ১০০ দিনের কাজের টাকা এলে এর জেরে বেশ বিরক্তই হয়েছেন