‘কিছু না জেনে লিখে এনে বড় বড় ভাষণ দেওয়াই যায়’, নাম না করেই শাহ্’র কবিপ্রণাম কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ মমতার

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে লাগল রাজনীতির রঙ। জোড়াসাঁকোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্’র কবিপ্রণাম কর্মসূচিতে রাজনীতির ছায়া দেখছে রাজ্যের শাসক শিবির। এই নিয়ে পরোক্ষভাবে তাঁকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে বলে তোপ দাগেন মমতা।
আজ, মঙ্গলবার ধনধান্যে প্রেক্ষাগৃহে রাজ্য সরকারের রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবে তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো”।
জোড়াসাঁকোয় অমিত শাহ্’র কবিপ্রণাম কর্মসূচিকেই যে মমতা এদিন শুধু আক্রমণ শানিয়েছেন, তা নয়। নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা বাংলায় এসে বিশ্বকবির মাটি নিয়ে অনেক কথা বলেছেন যার মাধ্যমে তাদের কবিগুরুর বাংলা সম্পর্কে অজ্ঞানতার বিষয়টিই ধরা পড়েছে, তা নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মমতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্’ই একবার বলেছিলেন শান্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান, যা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছিল একসময়।
সেসব ঘটনার কথা টেনেই বিজেপি নেতাদের নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “ভোটের সময় রবীন্দ্রনাথকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক কিছু না জেনে লিখে এনে কিংবা টেলিপ্রম্পটার দেখে অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। এমনকী বলে দেওয়া যায়, শান্তিনিকেতন কবিগুরুর জন্মস্থান। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে ফেলা যায়। এসব ঘটে। কিন্তু যাঁদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, তাঁরা সবসময়ে তাঁকে অনুভব করেন। হদয়ের মধ্যে দিয়েই রবি-উপাসনা হোক, তবেই তা হবে প্রকৃত রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো”।
শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই নন, অমিত শাহ্’র কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। এদিন তৃণমূল ভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেন, “চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে বাঙালিকে কাছে টানার চেষ্টা। তবে রবীন্দ্রনাথকে ভোটের কাজে ব্যবহার করলে হবে না। তাঁর আদর্শ বুঝতে হবে। সেই পথে চলতে হবে। অর্থাৎ সহিষ্ণুতা, সর্বধর্ম সমন্বয়। কেন্দ্র তা করে না”।