রাজ্য

‘অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি, সুস্থ হয়ে উঠছি’, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন মমতা

দিন দুয়েক আগেই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জলপাইগুড়ি থেকে বাগডোগরা ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। বড় বিপদ এড়াতে সেবকের সেনা ক্যাম্পে পাইলট জরুরি অবতরণ করান হেলিকপ্টারটিকে। এর জেরে কোমরে ও বাম পায়ে আঘাত পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা ফিরে এসএসকেএমে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় তাঁর। এবার সেই দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা।

আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, মঙ্গলবার সেবক সেনাছাউনিতে তাঁর কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। ভগবানের অশেষ আশীর্বাদ, পাইলটদের দক্ষতা ও ডাক্তারদের দারুণ প্রচেষ্টায় তিনি বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

টুইটে মমতা লেখেন, “গত পরশু সেবক এয়ারবেসে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময়ে অল্পের জন্য রক্ষে পেয়েছি। ভগবানের আশীর্বাদে এবং মেডিকেল টিমের আন্তরিক চেষ্টায় আমি সুস্থ হয়ে উঠছি, বাড়িতে ফিজিওথেরাপি সেশন চলছে”।

মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার রাতে নবান্ন সূত্রে তথ্য জানানো হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁ হাঁটুর লিগামেন্টে ও হিপ জয়েন্টে চোট পেয়েছেন। চিকিৎসকরা তাঁকে বিশেষ চলাফেরা করতে বারণ করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের একটি টিম ফের মুখ্যমন্ত্রীকে পরীক্ষা করে দেখেন। তাঁর বাসভবনে ফিজিওথেরাপি সেশনও হয়। ফিজিওথেরাপি আপাতত চলবে। মুখ্যমন্ত্রীকে লম্বা সফরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্লাস্টার হয়েছিল তাঁর পায়ে। হুইল চেয়ারে করেই চলাফেরা করতেন সেই সময় তিনি। হুইল চেয়ারে বসেই করেছেন নির্বাচনী প্রচার। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই আঘাত সত্ত্বেও মমতা জেলায় জেলায় প্রচারে যাবেন কী না, এখন সেটাই দেখার।

Back to top button
%d bloggers like this: