হাসপাতাল যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না দেয়, তাহলেই কড়া ব্যবস্থা, হুঁশিয়ারি শানিয়ে জানিয়ে দিলেন মমতা

রাজ্যবাসী যাতে কোনও ঝঞ্ঝাট ছাড়া চিকিৎসা পেতে পারে, সেই কারণে অনেক আগেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেক পরিবার এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পাওয়ার সুবিধা পাবে বলে জানানো হয়। কিন্তু, একাধিকবার দেখা গিয়েছে যে অনেক বেসরকারি হাসপাতালই সরকারের সঙ্গে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা দিতে চায় নি।
এই নিয়ে এর আগেও বারবার বার্তা দিয়েছেন মমতা। এবার বেশ কড়া ভাষাতেই বার্তা দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে কোনও বেসরকারি হাসপাতাল যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে পরিষেবা না দিতে চায়, তাহলে সেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মমতা বলেন, “যারা স্বাস্থ্যসাথী নেবে না, তাদেরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে”।
মুখ্যমন্ত্রী এর আগে এও জানিয়েছিলেন যে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের বাইরেও চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া যাবে। কিন্তু রাজ্যের বাইরেও একই ঘটনা ঘটেছে বারবার। ফিরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল। এই কারণে এবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে কিছু বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে যে রাজ্যের বাইরে যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়েই করতে হবে। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দ্বারা পরিষেবা মিলবে না।
জেলা ও মহকুমা হাসপাতালগুলিকে রোগী রেফার করার বিষয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান যে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো এখন অনেক ভালো হয়েছে। জেলায় জেলায় মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। এই কারণে রোগীকে কলকাতায় রেফার করার বদলে ওই হাসপাতালেই পরিষেবা দিতে হবে। এদিন মহকুমা শাসক, জেলাশাসক ও বিডিওদের মমতা নির্দেশ দেন যাতে তারা মাঝেমধ্যেই হাসপাতালগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিটে যান।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি হাসপাতালগুলি প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্য চিকিৎসার জন্য যে অর্থ বেঁধে দিয়েছে,তা অনেক ক্ষেত্রেই অনেক চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকারি নিয়ম মেনে চলতে তারা বাধ্য। তবে রাজ্যের বাইরে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। এই কারণে এবার এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেশ কড়া পদক্ষেপ নিলেন মমতা।