রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লোকানোর জন্য আমবাগান, মানিকের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এবার ইডির স্ক্যানারে

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের অস্থাবর সম্পত্তি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তাঁর পরিবারের নামে থাকা কোটি কোটি টাকার সম্পত্তিও ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার মানিকের আরও সম্পত্তির দিকে নজর রয়েছে ইডির। ইডি সূত্র খবর, মানিকের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে মানিক ও তাঁর পরিবারের ৭ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি এখনও পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

ইডির অভিযোগ, এই সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই  সরানো হয়েছে টেট দুর্নীতির টাকা। এছাড়াও শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ‌্যমেও টাকা সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতি এবার ইডির নজরে রয়েছে মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে শৌভিকের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি।

এই বিপুল সম্পত্তি কেনার টাকার উৎস নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির তথ্য অনুযায়ী, মানিক ও তাঁর ছেলের নামে দু’টি আমবাগান রয়েছে। তাছাড়াও নদিয়ার কালীগঞ্জ থানা এলাকার মঘড়াইক্ষেত্র গ্রামে মানিকের পরিবারের দশ একর জমি আছে।

ইডি সূত্রে খবর, কালীগঞ্জে মানিকের ছেলে শৌভিক ভট্টাচার্যের নামে এক বিঘা আমবাগান কেনা হয়েছিল। সেই জমির দাম পড়েছিল দেড় লক্ষ টাকা। এরপর সেই গ্রামেই আরও ৩৬ ছটাক জমি কেনা হয় যার দাম পড়েছিল ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা।

এছাড়াও, যাদবপুরে ৬৫০  বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে মানিকের। এবার যাদবপুরের সেন্ট্রাল রোডে একটি দেড় হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে এই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল বটে কিন্তু এত বিপুল সম্পত্তি কেনার ‘ডাউন পেমেন্ট’এর টাকা কোথা থেকে এল, তা নিয়ে এবার তদন্তে নেমেছে ইডি।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার টেট নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট পেশ করে ইডি। সেখানে মানিকের স্ত্রী , ছেলে ও তাপস মণ্ডলের নাম উল্লেখ করা রয়েছে। মোট ৫০ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ইডির তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মানিকের ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে।a

Back to top button
%d bloggers like this: