‘ক্ষমা চাইতেই হবে, নাহলে আরও বড় আন্দোলন’, গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুল উচ্চারণ করায় মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি মতুয়া সম্প্রদায়ের

মতুয়াদের ধর্মগুরু গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম ভুল উচ্চারণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর বিরোধিতা করা হয় মতুয়াদের তরফে। এই ভুল যদি না শোধরানো হয়, তাহলে মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি। আজ, রবিবার তারা শ্যামনগর বাসুদেবপুর মোড়ে ডঙ্কা বাজিয়ে প্রতিবাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা না চান, তাহলে আরও বড় আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি শানান তারা।
এই প্রসঙ্গে মতুয়াদের দলপতি হৃদয় সেন বলেন, “আরাধ্য উপাসকের নাম ভুল উচ্চারণ করেছেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আবেদন করছি, যেন ভুল সংশোধন করে নেওয়া হয়। আমরা এর প্রতিবাদ করছি। যদি না করেন, তাহলে আরও বড় আন্দোলনে যাব”।
দলপতি আরও বলেন, “ওঁ তো একসময়ে ঠাকুরবাড়িতে বহু এসেছেন। বড়মার আর্শীবাদ নিয়ে অনেক কিছু করেছেন। একজন মানুষ ভুল উচ্চারণ করতেই পারেন। কথা বলতে গেলে অনেক কিছুই ভুল হয়ে যায়। আমরা ভেবেছিলাম ভুল সংশোধন করে নেবেন। কিন্তু সেটা তো হল না। তাই এই প্রতিবাদ”।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মালদার গাজোলে একটি সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ ওঠে মমতা সেই নাম ভুল উচ্চারণ করেছেন। এরপরই মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশ দাবী করে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাত দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ।
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন, “শুধুমাত্র একটা সম্প্রদায়ের মানুষকে খুশি করার জন্য, ভোট ব্যাঙ্কের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার গাজোলে দাঁড়িয়ে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত উচ্চারণ করেছেন। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে”।
শুধু তাই-ই নয়, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই ঘটনা প্রসঙ্গে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রীকে। দাবী তোলেন যে মালদায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, “গুরুচাঁদ নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মতুয়া সমাজকে মন থেকে সম্মান করেননি, কেবল ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন”।