‘অসুস্থতার জেরেই লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে’, জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি, ফের শুরু বিতর্ক

গতকাল, সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সেই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার এই মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবী, অসুস্থতার কারণেই লালনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ, মঙ্গলবার ব্যারাকপুর সংশোধনাগারে আসেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। সেখানে বন্দিদের অবস্থা সরজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। কথা বলেন তাদের সঙ্গে। তারা সরকারি পরিষেবা ঠিকঠাক পাচ্ছেন কী না, খাওয়াদাওয়ার কোনও অসুবিধা হচ্ছে কী না, সেসব খোঁজ নেন তিনি। সেখানেই বগটুই কাণ্ডে ধৃত লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তিনি দাবী করেন, লালনের মৃত্যু হয়েছে অসুখে। অখিল গিরি এদিন বলেন, “অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন, তাঁকে আমরা চিকিৎসা করিয়েছি। অনেকেই অসুস্থ অবস্থায় আসেন সংশোধনাগারে। যথাসাধ্য সরকারে তরফে চিকিৎসা করা হয়। জটিল রোগ হলে বাইরেও চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু কেউ মারা গেলে কিছু করার নেই”।
কারামন্ত্রীর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কারণ বোলপুরের সিবিআই ক্যাম্পে উদ্ধার হয়েছে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। ফলে অসুস্থতার তত্ত্ব আদতে কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন তো থাকছেই, সেই সঙ্গে আরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সিবিআই হেফাজতে বন্দিদের চিকিৎসার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে তাঁদের উপর। বন্দিদের কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হবে, কোন চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করবে, তা সিবিআই ঠিক করে। সেখানে অখিল গিরি দাবী করেছেন যে তাঁরা লালন শেখের চিকিৎসা করিয়েছে। এই বিষয়টা কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্নও তুলেছে ওয়াকিবহল মহল।
উল্লেখ্য, গতকাল, সোমবার বিকেলে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের বাথরুমে থেকে উদ্ধার হয়েছে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআই দাবী করে যে লালন শেখ আত্মহত্যা করেছে। আর পরিবারের দাবী লালনকে খুন করা হয়েছে। তারা সিআইডি তদন্তের দাবীও তুলেছেন।