দেশ

শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া এবার কর্ণাটকে, বাবাকে খুন করে ৩২ টুকরো করে কুয়োয় ফেলে দিল ছেলে, গ্রেফতার

শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া এবার দেখা গেল কর্ণাটকে। লোহার রড দিয়ে বাবাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খুনের পর দেহ লোপাট করার জন্য মৃতদেহের ৩২ টুকরো করে কুয়োর মধ্যে ফেলে দেয় সে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। পুলিশ তদন্তে নেমে মাটি খুঁড়ে দেহাংশ উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে।

কর্ণাটক পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বয়স কুড়ি বছর। নাম বিঠালা কুলালি। জানা গিয়েছে, বাবা পরশুরাম কুলালির সঙ্গেই থাকত। দুই ভাইয়ের মধ্যে বিঠালা কনিষ্ঠ। মাকে নিয়ে দাদা আলাদা থাকেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ম’দ খেয়ে পরশুরাম বাড়িতে অশান্তি করতেন। এর জেরে বড় ছেলেকে নিয়ে অন্যত্র চলে যান স্ত্রী। বিঠালা বাবার সঙ্গে থাকলেও, তাঁর দেখভাল করলেও মাঝেমাঝে ঝামেলা হত।

তবে গত ৬ই ডিসেম্বর ঝামেলা চরমে ওঠে। এরপরই রাগের মাথায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে বাবাকে খুন করে বিঠালা। আর দেহ লোপাটের জন্য সে মৃতদেহের ৩২টি টুকরো করে। এরপর সেই টুকরোগুলো বাগালকোট জেলার মুধোলে এলাকায় মানতুর বাইপাসের কাছে একটি কুয়োর ফেলে দেয়।

এদিকে কিছুদিন ধরেই পরশুরামের কোনও হাঁকডাক না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। পরশুরামের বড় ছেলে ও স্ত্রীকে খবর দেয় তারা। স্ত্রী ও বড় ছেলে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বিঠালাকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করায় সে খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। বর্তমানে সেই কুয়ো খুঁড়ে দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।  

বলে রাখি, চলতি বছরের ১৮ই মে দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করে তাঁর প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। খুনের পর শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করে আফতাব। এরপর দিল্লির নানান জায়গায় দেহের টুকরোগুলি ফেলতে থাকে সে। সেই ঘটনারই ছায়া দেখা গেল কর্ণাটকে।

Back to top button
%d bloggers like this: