দশম শ্রেণীর নাবালিকাকে ধর্ষণের পর নির্মম অত্যাচার, গ্রেফতার প্রতিবেশী যুবক

দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। চাষের জমির মধ্যে অত্যাচার চালিয়ে ওই নাবালিকাকে ফেলে পালায় অভিযুক্ত। এরপর পরিবারের লোকজন নাবালিকার খোঁজ করলে চাষের জমির মধ্যে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার নাজিরপুর অঞ্চলের লক্ষীকোল গ্রামে। নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, ধর্ষণের পর নাবালিকার মুখ রাখতে তার উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় ওই যুবক।
আরও পড়ুন- একই এলাকার মধ্যে দুটি পৃথক সংখ্যালঘু সেল, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের তরজা, কটাক্ষ বিজেপির
পুলিশ সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবকের নাম বাপি মহালদার। লক্ষীকোল গ্রামেরই বাসিন্দা ওই যুবক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে নির্যাতিতা ওই নাবালিকা নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বাবা পেশায় মৎস্যজীবী। গত মঙ্গলবার বাবা কাজে যাওয়ার পর তার মা-ও চাষের জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে যায়। অন্যান্য দিনের মতো নাবালিকাও বিকেলে গবাদি পশুর জন্য ঘাস আনতে বাড়ির কিছুটা দূরে জমিতে যায়। সেখানেই ফাঁদ পেতে রেখেছিল অভিযুক্ত।
ওই জমিতেই ওই নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষণ করে ওই যুবক। নাবালিকা চিৎকার করলে তাকে প্রাণে মেরে দিতে নাবালিকাকে মারধর করে ওই অভিযুক্ত যুবক। জমি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাবালিকার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার রাতেই মানিকচক থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা করার অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর পুলিশের তৎপরতায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।