৭ বছরের নাবালিকাকে ধ’র্ষ’ণ করে খু’ন, মাথায় স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ফুটো, নৃশংস অত্যাচারের আঘাত শরীরে, উত্তেজনা তিলজলায়

৭ বছরের নাবালিকার উপর নৃশংস যৌ’ন অত্যাচার চালিয়ে খু’নের অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা তিলজলায়। গতকাল, রবিবার গোটা দিন নিখোঁজ থাকার পর পাশের এক ফ্ল্যাট থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় নাবালিকা দেহ। এরপরই তিলজলা থানার সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নাবালিকার পরিবার ও পড়শিরা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল, রবিবার সকাল ৮টা থেকেই তিলজলা থানা এলাকার ওই নাবালিকার খোঁজ মিলছিল না। তার পরিবারের তরফে থানার তা জানানো হলেও পুলিশ সেভাবে বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি বলেই অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের মতে, পুলিশ যদি সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করত, তাহলে নাবালিকাকে প্রাণে বাঁচানো যেত।
সূত্রের খবর, ওই নাবালিকা দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া। রবিবার সকালে নিখোঁজ হওয়ার আগে সিসিটিভি ক্যামেরাতে তাকে ধর রায় রোডের একটি আবাসনে ঢুকতে দেখা যায়। নাবালিকার বাবা তা জানিয়ে পুলিশকে ওই আবাসনে তল্লাশি চালাতে বলেন। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ তা করতে অনেকটা দেরি করে।
প্রায় ১২ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। ওই আবাসনের ৩২টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে তিনতলার একটি তালাবন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার দেহ। জানা গিয়েছে, তার দেহ বস্তায় ভরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাশে রাখা ছিল। নাবালিকাকে ধ’র্ষ’ণের পর খুন করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মাথায় স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ফুটো করা, এমনকি হাতুরি মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে শরীর। অনুমান শ্বাসরোধ করে খু’ন করা হয়েছে নাবালিকাকে।
ওই ফ্ল্যাটের মালিক অলোক কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নাবালিকাকে অপহরণ করে খুন ও পকসো ধারায় মামলা দায়েরের পাশাপাশি থানায় হামলার মামলাও দায়ের করা হয়েছে। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পরই তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখায় নাবালিকার পরিবার ও প্রতিবেশীরা। ছোঁড়া হয় ইট। তাদের দাবী, পুলিশ ঠিক সময়মতো তল্লাশি শুরু করলে নাবালিকাকে বাঁচানো যেত।