অর্জুন সিং-এর ডান হাত মনীশ শুক্লা খুনে অভিযুক্ত শার্প শুটার অনীশ ঠাকুরকে কলকাতায় নিয়ে এল সিআইডি

বিজেপি নেতা অর্জুন সিং-এর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় ধৃত মোস্ট ওয়ান্টেড শার্প শুটার অনীশ ঠাকুরকে তামিলনাড়ু থেকে কলকাতায় নিয়ে এল সিআইডি। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি টি – আই প্যারেড করার নির্দেশ আদালতের। অনীশকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিআইডির।
সূত্রের খবর, টিটাগড়ে মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনার দিন শার্প শুটার অনীশই গুলি চালিয়েছিল।
সিআইডি সূত্রে জানানো হয়েছে, মনীশকে খুনের দিন অনীশ বিহার জেলে বন্দী সুবোধ সিংকে দশ বার ফোন করে কথা বলেছিল। শুধু তাই নয়, বারাকপুরে ধৃত সুবোধ রায়ের সঙ্গেও কথা হয় এই শার্প শুটারের।
সিআইডি সূত্রে খবর, গুলি চালানোর পর ফোন নষ্ট করে ফেলে দেয় অনীশ। ফলে অনীশকে জেরা করে ওই ফোন কোথায় ফেলেছিল তা জানার চেষ্টা করবে সিআইডি, চলছে বাকি শার্প শুটারদের খোঁজ। শনিবার বারাকপুর আদালতে অনীশকে পেশ করে সিআইডি। টি- আই প্যারেডের জন্য এদিন সিআইডি-র তরফে আদালতের কাছে আবেদন করা হয় ।
কিছুদিন আগেই আততায়ীকে গ্রেফতার করেছিল তামিলনাড়ু পুলিশ । তামিলনাড়ু চন্দ্রপুরা এলাকায় স্বর্ণ ঋণ প্রদানকারী সংস্থাতে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পরে অনীশ । এরপরই সিআইডির একটি টিম এরপর তামিলনাড়ু গিয়ে অনিশকে জেরা করে । শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ তামিলনাড়ু থেকে অনীশকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার ভবানী ভবনে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর ৪ঠা অক্টোবর খুন হন মনীশ শুক্লা। টিটাগড়ে পার্টি অফিসের সামনে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় শিল্পাঞ্চলের দাপুটে নেতাকে। ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। গ্রেফতার করা হয় মূল ষড়যন্ত্রকারী নাসির আলি মন্ডল, শার্প শুটার সুজিত রাই , রোশান কুমার, মোহাম্মদ খুররাম খান, গুলাব আলি শেখ, সুবোধ রায়, পবন রায়, অমর যাদব, গুলাব ও রাজা রায় । প্রায় অষ্টআশি দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে সিআইডি । সন্দেহভাজনের তালিকায় রয়েছে ১২ জনের নাম, এরমধ্যে রয়েছে দুই বিদায়ী পুরপ্রশাসকের নামও।