রাজ্য

WB Election 2021: ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলছে বাংলায়! সিন্ডিকেট, কাটমানি বন্ধ না হলে বাংলায় উন্নয়ন আসবে না, হুগলির সভায় মোদী

আজ হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই সভা থেকেই ভারচুয়ালি দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর শুভ উদ্বোধন করবেন তিনি। এদিন সভায় প্রথমেই মোদী বলেন যে আজ রেল ও মেট্রোর বহু প্রকল্পের শিলান্যাস হতে চলেছে। এর জেরে বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি হবে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাই যে তাঁর মূল লক্ষ্য, একথাও এদিনের সভায় স্পষ্ট করেন মোদী।

নিঃসন্দেহে আজ উত্তর ২৪ পরগণা, হুগলি ও হাওড়ার মানুষের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিন। অনেক অপেক্ষার শেষে আজ অবশেষে উদ্বোধন হতে চলেছে দক্ষিণেশ্বর-বরানগর মেট্রোর। এদিন সভায় একদিকে যেমন মোদী আসন্ন নির্বাচনের দামামা বাজান, তেমনিই অন্যদিকে শাসকদলকে তুলোধোনা করতেও ছাড়েননি তিনি।

আরও পড়ুন- মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন, জল্পনা বাড়িয়ে ইঙ্গিত মোদীর

তাঁর কথায় বাংলায় এখন ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চলছে। তাঁর অভিযোগ বাংলার পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে বলে তাঁর দাবী। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ বঙ্কিম ভবনের অবস্থা খুব খারাপ। কোনও দেখভাল করা হয় না। বাংলার মানুষদের দুর্গাপুজো করার থেকে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি এভাবে বাংলার সংস্কৃতি খর্ব হতে দেবে না। সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি, এমনটাই জানান মোদী। সঙ্গে এও বলেন যে যতদিন এখানে সিন্ডিকেট, কাটমানি, প্রশাসন গুণ্ডাদের আশ্রয় দেওয়া হবে, ততদিন বাংলায় উন্নয়ন আসবে না। তাই মোদীর দাবী, এই তুষ্টিকরণের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

এদিন কৃষি সম্মান নিধি ও আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও রাজ্যকে ফের খোঁচা দেন মোদী। এ বলেন যে কলকাতা এখন অনেক বদলে গেছে। এখন মানুষ কাজের সন্ধানে অন্যান্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। ফের একবার তৃণমূলকে বিঁধে তিনি বলেন যে বিগত কিছু বছরে কি হাক হয়েছে রাজ্যের। তাঁর কথায়, আগে পশ্চিমবঙ্গের জুট গোটা দেশে সরবরাহ হত। হুগলি নদীর দু’পাশে জুট, স্টিলের কারখানা ছিল। কিন্তু তৃণমূলের সময়কালে রাজ্যে কোনও শিল্প তৈরি হয়নি। হুগলির ধান, আলু চাষিদের তৃণমূল লুটছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- আসন্ন নির্বাচনে বাংলায় রাজত্ব করবে বিজেপিই! মোদীকে রিপোর্ট মুকুলের

এও বলেন যে বাংলার ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য জল জীবন মিশন প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র। এই জন্য রাজ্যকে ১৭০০ কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এর মধ্যে ৬০৯ কোটি টাকাই খরচা করেছে রাজ্য সরকার। বাকী টাকা কারচুপি করেছে। বাংলার পৌনে দু’কোটি পরিবারের মধ্যে মাত্র ৯ লক্ষ বাড়িতে জলের কলের ব্যবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মোদী।

এদিন সভায় মোদী এও বলেন যে তৃণমূলের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে বিজেপি, শুরু হয়েছে ‘আর নয় অন্যায়’ প্রচার। এবার আসল পরিবর্তন হবে বলেই ঘোষণা মোদীর।

Back to top button
%d