বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে একই মঞ্চে তৃণমূলের এক সাংসদ, ফের দলবদলের ইঙ্গিত, বাড়ছে জল্পনা

বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এই সময় ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। নানান তৃণমূল নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে ঘাঁটি গেড়েছেন। ফের একবার একবার দলবদলের সাক্ষী থাকতে বঙ্গ রাজনীতি। সম্প্রতিই, তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে দেখা গেল বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে একই মঞ্চে। একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে ফের একবার রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।
সংসদে বাজেট অধিবেশনের আগেই লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান দিব্যেন্দু। এরপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। সেই সময় দিল্লি যাওয়ার আগেই একসঙ্গে ৭টি হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন দিব্যেন্দু। এরপর নন্দীগ্রামে সাউথখালী এলাকায় বিজেপি কর্মীদের আয়োজিত সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁর যোগদান, তাঁর দলবদলের জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দিল।
বলে রাখি, তৃণমূল ছাড়ার আগে শুভেন্দু অধিকারীও অনেক অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তাই মনে করা হচ্ছে, দিব্যেন্দুও কী দাদার পথই অনুসরণ করবেন?
আরও পড়ুন- মার্চের প্রথম সপ্তাহেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন, জল্পনা বাড়িয়ে ইঙ্গিত মোদীর
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কাথিঁর অধিকারী বাড়িতে ঘাসফুলের সঙ্গে সমীকরণ পাল্টেছে। কাথিঁর পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় শুভেন্দুর ছোটো ভাই সৌমেন্দুকে। এরপরই রাতারাতি দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরানো হয় বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারীকেও। সৌমেন্দু এরপর দাদার হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। এখন সন্দেহ করা হচ্ছে, দিব্যেন্দুও হয়ত সেই পথেই হাঁটতে চলেছে।