আজ রাত থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দমদম রোড, বড় বিপদে পড়তে চলেছে শহরতলির মানুষ, চরমে উঠবে ভোগান্তি

দমদম রোডের বাগজোলা খালের উপড়ে যে সেতু, সেটিই দমদম স্টেশনের সঙ্গে নাগেরবাজারের সংযোগ স্থাপন করে। এই সেতু তৈরি হয়েছিল সে ব্রিটিশ আমলে। শহরতলির মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২০২১ সালের মাঝ বরাবর থেকে বিকল হয়ে পড়ে এই সেতু। এবার পুরোপুরিভাবেই ভেঙে ফেলা হবে এই সেতুটি।
এই সেতু ভেঙে ফেলার জেরে দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার যাওয়ার সরাসরি পথ বন্ধ হয়ে গেল। এতদিন বাস তো বন্ধ ছিলই। এবার ছোটো গাড়িও আর সরাসরি দমদম থেকে নাগেরবাজারের দিকে যেতে পারবে না বলেই জানা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, ছোটো গাড়ির ক্ষেত্রে নাগেরবাজারের দিক থেকে তা অজয়নগর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
কিন্তু বাকি পথচারীরা কী করবেন? জানা গিয়েছে, এবার থেকে দমদম স্টেশন থেকে নাগেরবাজার যেতে হলে দুটো অটো পাল্টে যেতে হবে। প্রথমে দমদম স্টেশন থেকে হনুমান মন্দির যাওয়ার জন্য একটি অটো। তারপর সেখান থেকে একটি ফুট ব্রিজ টপকে বাগজোলা খালের পর ছাতাকল থেকে আরেকটি অটো নিয়ে যেতে হবে নাগেরবাজার।
আগামীকাল থেকেই বাগজোলা খালের উপরের এই সেতু ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণে আজ রাত ১২টার পর থেকেই চালু হবে এই নয়া রুট। পুরনো সেতুর সঙ্গে নতুন সেতুতে কিছুটা পার্থক্য থাকবে বলে জানানো হয়েছে পূর্ত দফতরের তরফে।
পুরোনো সেতুটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৩০ মিটার। তবে নতুন নকশা অনুযায়ী এই সেতুর দৈর্ঘ্য বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১০০ মিটারে। সেই অনুযায়ীই ৪ থেকে ৫ ফুট বাড়বে সেতুর প্রস্থও। সেতুর দু’পাশে সার্ভিস রোডও রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এটা আগের সেতুতে ছিল না। সেতুটির দৈর্ঘ্য বাড়ানোর কারণ হিসেবে পূর্তকর্তারা জানান, খালের জল অনেক সময় সেতুর কাঠামোর তলদেশ ছুঁয়ে যায়। সেই কারণে সেতুটির উচ্চতা বাড়ানো হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরের মাঝ বরাবর এই নতুন সেতু নির্মাণের ব্যাপারে দক্ষিণ দমদম পুরসভা বৈঠক বসে। বৈঠকে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক, প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যেরা, পূর্ত দফতর এবং পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন। প্রাথমিক রূপরেখা অনুযায়ী, দমদম স্টেশন অভিমুখে সেতুটি হনুমান মন্দির ছাড়িয়ে মূল রাস্তায় মিশবে। হনুমান মন্দিরের কাছে ফুটপাথের আয়তন কমে যেতে পারে। তবে এভাবে দমদম স্টেশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে সাধারণ মানুষ বেশ নাজেহাল হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য, সেই সেতু তৈরির কাজ কবে আদৌ শেষ হবে, সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনও ধারণা মেলেনি।