‘আমি যদি গুণ্ডা হই, তাহলে উনি তো গুণ্ডার পিসি’, মমতাকে পাল্টা আক্রমণ নিশীথের

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভোট প্রচারে উত্তরবঙ্গ গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, মঙ্গলবার কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের চান্দামারিতে নির্বাচনী সভা করেন তিনি। সেই সভা থেকেই নাম না করেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে ‘গুণ্ডা’ বলে আক্রমণ করেন তিনি এবার মমতার সেই আক্রমণ পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
গতকালের চান্দামারির সভা থেকে নিশীথ প্রামাণিকের নাম না করেই কটাক্ষ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “একটা গুন্ডা কখনও হোম মিনিস্টার হয়! এখানে যখন বিএসএফ লোককে গুলি করে মেরে দিচ্ছে, তখন উনি আফ্রিকায় ঘুরছেন। তারপর ১০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে ঢুকে পড়বেন ভোটে”।
তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “আমি যদি গুন্ডা হই তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন গুন্ডার পিসি । একেবারে স্পষ্ট ভাষাতেই বলছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষায় কথা বলেন আমি সেই ভাষাতেই বোঝাতে চাইছি”।
এখানেই শেষ নয়। নিশীথ আরও বলেন, “উত্তরবঙ্গের মানুষের জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। তাই তিনি ওসব বাজে কথা বলছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় পুরুষদের দেখা যায়নি। মহিলাদের জোর করে প্রলোভন দেখিয়ে জনসভায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বলব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা ব্যর্থ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাষাতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। তাতে মনে হচ্ছে উনি সংবিধান ভুলে গিয়েছেন”।
এদিনের সভায় বিএসএফ-কেও আক্রমণ করেন মমতা। সেই প্রসঙ্গ নিয়েও তাঁকে পাল্টা জবাব দেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, “পাচারকারী মারা গেলে কেন তৃণমূলের এত দরদ? তৃণমূল নেতাদের কী স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে তা আমি জানতে চাই”।
নিশীথের সংযোজন, “রাত জেগে সব সময় সীমান্তে কড়া পাহারা দিয়ে দেশকে সুরক্ষিত রাখেন বিএসএফ জওয়ানরা। তাদেরকে নিয়ে কোনও কটুক্তি করা মানেই দেশের সুরক্ষা নিয়ে কটুক্তি করা। দেশের সংবিধানকে অসম্মান করা”।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে রাজ্যে হিংসা, অশান্তি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে নিশীথ বলেন, “আজ জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই আক্রমণ গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ, এই আক্রমণ বাংলার সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ”। তাঁর দাবী, ১১ বছরে বাংলায় যত রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে এর আগে তা কোথাও কোনওদিন হয়নি।