রাজ্য

বিশ্বভারতী দেশের গৌরব, শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রেরণাস্থল বাংলা! বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে বাংলার আকন্ঠ প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের বিশ্বভারতীকে দেশের গৌরব আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে বললেন স্বয়ং ঠাকুর যে একতার বার্তা দিয়েছিলেন তা যেনও কেউ না ভোলে।

এদিন বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে এমনই আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল মোদীর গলায়। বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে জানালেন, “এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারতের প্রেরণাস্থল বাংলা।”

আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। আর তাই আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক।

সকলের সামনে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করেন সশরীরে অনুষ্ঠানে থাকতে না পারার জন্য।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ মহারাজা ছত্রপতি শিবাজির জন্মদিন। সেই উপলক্ষে তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথের ‘শিবাজি উৎসব’ কবিতাটির কিছু অংশ আবৃত্তি করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন এই কবিতার মাধ্যমেও রবীন্দ্রনাথ দেশের একতার কথাই বলতে চেয়েছেন। পরে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গানের পঙক্তির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বাংলার জয়গানের পাশাপাশি কবিগুরু তাঁর লেখায় ‘ভারতের মহামানবের সাগরতীরে’ দেশের পুণ্য তীর্থের উল্লেখ করেছেন।

সেইসঙ্গে দেশবাসীকে বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী এক প্রতিষ্ঠান উপহার দেওয়ার জন্য এদিন রবীন্দ্রনাথের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বভারতীয় কেবল একটি প্রতিষ্ঠানমাত্র নয়। তা এক অনন্য প্রয়াস।”

প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, জ্ঞান সীমাহীন হওয়া উচিত এমন ভাবনা থেকেই বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

সেই সঙ্গে দেশের যুব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর বিশ্বাসের কথাও বলেন তিনি। তাঁর মতে, দেশের ভবিষ্যতকে বদলানোর ক্ষমতা রয়েছে দেশের যুবশক্তির। তাঁদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “আপনাদের কেবল সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনারা সমস্যার সমাধান করতে চান নাকি সেটার অংশ হয়েই থাকতে চান।”

Back to top button
%d bloggers like this: