রাজ্য

‘মানসিক হেনস্থা করা হচ্ছে’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠন ও পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে তাঁকে র‍্যাগিং করার অভিযোগ তৃণমূলের রাজন্যার

ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল যুবনেত্রী রাজন্যা হালদার। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্যের কারণে সকলের নজর কেড়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদ মিছিলেও তাঁকে বেশ গলা চড়াতে শোনা গিয়েছে। এমন আবহে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও বামপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন তৃণমূল নেত্রী।

সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় রাজন্যার একটি নাচের ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি ও তাঁর বোন নাচ করছেন। সেটি সম্ভবত একটি রিল ভিডিও। তাঁর সেই ভিডিও নিয়েই নানান চর্চা শুরু হয়েছে। ভিডিওটি কী আদতে তাঁরই? এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাজন্যা। বললেন যে এটা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নাচের একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে অশ্লীলতা কী রয়েছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না নেত্রী।

রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণেই কী এই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে?

রাজন্যার কথায়, “এটা যারা ভাইরাল করছে তাদের পাত্তা দিতে চাই না। কে কী বলল, কে কী বলল না, তাতে সত্যিটা ঢেকে যাবে না। ওরা এখন যে কাণ্ড যাদবপুরে ঘটিয়ে ফেলেছে, সেটা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই যাকে ইচ্ছা যেভাবে ইচ্ছা হেনস্থা করছে”।

রাজন্যার সংযোজন, “যা খুশি বলুক। কিন্তু ওই ভিডিওতে আমার সঙ্গে বোনও রয়েছে। এত বড় বড় প্রগতিশীলতার কথা বলে, অ্যান্টি ব়্যাগিংয়ের কথা বলে অথচ ভিডিও নিয়ে নোংরা কমেন্ট করছে। আমি রাজনীতির ময়দানে আছি। আমার বোন তো নেই! তাঁকে তো মানসিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার মনে হয় এটা ব়্যাগিং”।

‘মানসিক হেনস্থা করা হচ্ছে’, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠন ও পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে তাঁকে র‍্যাগিং করার অভিযোগ তৃণমূলের রাজন্যার 2

এই ভিডিও ভাইরাল করার নেপথ্যে বামেদের হাত

রাজন্যার দাবী, তাঁর এই নাচের ভিডিও ভাইরাল করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠন ও পড়ুয়ারাই। তিনি বলেন, “ওদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা ছিল না। এরা নিম্নরুচির, নিম্ন মানসিকতার। ব়্যাগিংমুক্তি ক্যাম্পাস গড়ার স্বপ্ন দেখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এটা একদমই বামপন্থীদের আদর্শ বিরুদ্ধ। এটা ভুলে গেলে হবে না, মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে আমরা রাজনীতি করি। দুটো-তিনটে ভিডিও নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে আটকানো যাবে না”।

ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে রাজন্যার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবি প্রসঙ্গে রাজন্যা বলেন, “সবাই জানে আমি এনগেজড। তারপরও এমন একটা ছবি ভাইরাল করা হচ্ছে। আমার প্রোফাইল ঘাঁটা হলে দেখা যাবে ওঁর সঙ্গে আমার ফেসবুকে প্রচুর ছবি আছে। অথচ রাজনৈতিক বন্ধু ও দাদাদের সঙ্গে ছবি দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। এসব নিয়ে আমি ভাবিত নই। বড় লড়াইয়ে নেমেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সকাল থেকে কত নোংরা নোংরা মন্তব্য করে এই বিজেপি ও বামপন্থীরা! ওদের থেকে আর কী আশা করা যায়”।

Back to top button
%d bloggers like this: