‘টাইম হো গয়া’, শাহ নাকি বৈঠকে বলেছেন শুভেন্দুকে? জানুয়ারিতেই কী হতে চলেছে ‘ডিসেম্বর ধামাকা’, জোর আলোড়ন রাজ্য- রাজনীতিতে

গতকাল, শুক্রবার রাতেই কলকাতা সফরে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন রাতেই তিনি বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও আরও অনেকে। আজ, শনিবার শাহ্’কে কলকাতা বিমানবন্দরে বিদায় জানানোর পর গতকালের বৈঠক নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবী, এদিনের বৈঠকে উপস্থিতদের মধ্যে একজন নাকি বলেছেন, “টাইম হো গয়া”। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে জানান নি বিরোধী দলনেতা।
এই ‘টাইম হো গয়া’ কথাটির একটি ব্যক্তিগত ব্যাখ্যাও দেন বিরোধী দলনেতা তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের বড় বড় ডাকাত, চোর, অত্যাচারীরা, পরিবারবাদ-তোষণবাদের আমদানি করা লোকেরা… তাঁদের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আইন মেনে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তা করা হবে। কালকের বৈঠকের পর আমরা এই বিষয়ে উৎসাহিত ও আশ্বস্ত”।
বলে রাখি, সাম্প্রতিককালে রাজ্যের শাসক দলকে নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। নানান দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের নাম জড়ানোর জেরে বিজেপির হাতে এখন শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে অনেক হাতিয়ার রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি ও বেআইনি নিয়োগ অন্যতম। আর এহেন অবস্থায় গতকাল রাতের বৈঠকে ‘টাইম হো গয়া’ কথাটি উঠে আসা নিয়ে শুভেন্দু ব্যক্তিগতভাবে যে ব্যাখ্যা দিলেন, তা যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে গতরাতের বৈঠকে এই কথাটি ঠিক কে বলেছেন, তা খুলে বলেন নি শুভেন্দু। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের বৈঠকে এমন একটি কথা উঠে আসা ও তা নিয়ে শুভেন্দুর ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা, সব মিলিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বেশ আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে বৈ কী!
টাইম হো গয়া বিষয়টি ঠিক কে বলেছেন, তা নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি কারও কথা বলিনি, ওটা নিশীথ প্রামাণিকও বলতে পারেন।” প্রসঙ্গত, নিশীথ প্রামাণিক বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। যদিও নিশীথ প্রামাণিকইই যে সেই কথাটি বলেছেন, এমনটাও নিশ্চিত করে কিন্তু বলেননি বিরোধী দলনেতা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডিসেম্বর মাসের তিনটি তারিখ ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে দাবী করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই তারিখগুলির প্রথম দুটি তারিখে বিশেষ কিছুই হয়নি। এমন অবস্থায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “১২ ডিসেম্বরটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে”। শুধু তাই নয়, ‘চূড়ান্ত লড়াই এসে গিয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।