‘নাম নিয়ে যদি চুরির বদনাম দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব’, মমতাকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election)। আর এই আবহে শাসক হোক বিরোধী, উভয়পক্ষই একে অপরকে শানাতে বা আক্রমণ করতে একটুও কসুর করছে না। গতকাল, বুধবারই বীরভূমের এক সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, “কেউ কেউ সরকারে থেকে সবথেকে বেশি চুরি করেছে, সবথেকে বেশি গদ্দারি করেছে। তাঁদের মুখে এখন আবার কালো টাকার গল্প শুনি। শুনলেও হাসি পায়”। এবার তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করলেন শুভেন্দুও।
গতকাল, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে এক সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরের জবাব দেন তিনি। মমতার মন্তব্যের প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। উনি আমার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছেন”। এর সঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েও বলেন যে তাঁর নাম উল্লেখ করে যদি চুরির বদনাম দেওয়া হয়, তাহলে তিনি মানহানির মামলা করবেন।
আসলে, গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ খুলে বলেছিলেন, পুরুলিয়ার চাকরির কোটা কেউ কেউ পকেটে পুরে নিয়েছিলেন। তবে সেই সময় সরাসরি কারোর নাম করেননি তিনি। মমতা বলেছিলেন, “আমি তো খুশি কয়েকটা ডাকাত গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছে”। এদিন সভামঞ্চ থেকে মালদার গাজোলে মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, “কাকে বলছেন? নাম ধরে বলুন। আমি যদি ডাকাত বা গদ্দার হই, বিধানসভায় ডেকেছিলেন কেন”।
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে এক সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয় তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “এসব কথাবার্তা অর্থহীন। উনি কি কারও নাম করে বলেছেন? তা হলে ওনার এত গায়ে লাগছে কেন? তা হলে কি মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা সঠিক? তাই কি সঠিক জায়গায় লেগেছে? না হলে ওনার এত গায়ে লাগছে কেন? গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল”।