দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়নে সহযোগিতা করার জের, বিজেপি নেতার হাত ভেঙে দিল তৃণমূল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তুমুল উত্তেজনা আউশগ্রামে

আগামী মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন পর্ব। আর তা শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে নানান অভিযোগ। গতকাল, রবিবার বিকেলে উত্তপ্ত হয় আউশগ্রাম। সেখানে বিজেপি নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মারধর, এমনকি তাঁর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আউশগ্রামের তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখ-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আউশগ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তিনি জানান, গতকাল, রবিবার বিকেলে বংশধর গোপ নামে এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে আউশগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় তাদের রাস্তায় আটকানো হয়। এরপর শুরু হয় ব্যাপক মারধর।
চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ইমদাদুল শেখের নেতৃত্বে প্রায় সাত-আটজন জন লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় তাঁর উপর। তাঁকে বাঁচাতে গেলে মারধর করা হয় বংশধর গোপকেও। স্থানীয় বাসিন্দারা গিয়ে তাদের বাঁচান। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই আউশগ্রাম থানা। খবর পেয়ে যায় পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।
এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চন্দ্রনাথবাবু। দু’জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম নজরুল খান ও ভুলু বাগদি। জানা যাচ্ছে, গত শনিবার আউশগ্রাম ১ ব্লক অফিসে দু’জন বিজেপি প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। চন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ, তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় সাহায্য করার কারণেই তাঁর উপর এমন হামলা করা হয়েছে।
এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সুতরাং প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল কেন আক্রমণ করতে যাবে। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে ভোট ময়দানে”।