ঝালদা পুরসভার ৫ কাউন্সিলরকে নিয়ে আসা হল কলকাতায়, চাপ দিয়ে দলবদল? মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

ফের নতুন বিতর্ক ঝালদা পুরসভা নিয়ে। সেই পুরসভার তিন কংগ্রেস কাউন্সিলর ও দুই নির্দল কাউন্সিলরকে কলকাতায় আনা হয়েছে। তাদের জোর করে দলবদল করানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে রয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায় যিনি নির্দলের হয়ে ভোটে জিতলেও কংগ্রেসের সমর্থনে পুরপ্রধান হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কলকাতায় আনা হয়েছে রঞ্জন কর্মকার নামে এক কাউন্সিলরকেও।
ঝালদা পুরসভায় কী সমস্যা?
ঝালদ পুরসভায় বোর্ড গঠন নিয়ে প্রথম থেকেই নানান জটিলতা তৈরি হয়। তৃণমূলের তরফে হাইকোর্টে অভিযোগ করা হয় যে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস বোর্ড গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও আইনি সমস্যা রয়েছে। দীর্ঘ মামলার পর পুরবোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। দু’বার পুরপ্রধান বদলও হন। শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলের হয়ে জেতার পর কংগ্রেসে সমর্থন নিয়ে পুরপ্রধান হন তিনি।
ঠিক কী ঘটেছে?
কিন্তু গতকাল, রবিবার হঠাৎই ওই পুরসভার ৫ কাউন্সিলরকে কলকাতা আনা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাদের সল্টলেকের কোনও এক আবাসনে রাখা হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানতে পারে কংগ্রেস। এরপরই তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান কংগ্রেস যুব নেতা কৌস্তভ বাগচি ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো।
কী জানাচ্ছে কংগ্রেস?
কৌস্তভ বাগচির অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড ভাঙাতে চাইছে। সেই কারণে কংগ্রেস ও নির্দলের কাউন্সিলরদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে নেপাল মাহাতো জানান, “আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখানে তারা ভালো আছেন, আমাদের সঙ্গেই আছেন। ওঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছিল। আমরা এসে ওঁদের বোঝাতে পেরেছে, ওঁরাও বুঝেছেন। বিষয় হচ্ছে, ঝালদা পুরসভা বিরোধী পুরসভা। এই পুরসভা নিয়ে শাসকদল যা করছে, তা যদি অবিলম্বে বন্ধ না করে আমরা আদালতে যাব। এখানে কাউন্সিলরদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে যে বিরোধী পুরসভা কোনও কাজ করতে পারে না। শাসকদলে যোগ দিয়ে কাজ করুক। এসব বন্ধ না করলে আমরা বাধ্য হব আদালতে যেতে”।
কলকাতায় আসা কাউন্সিলর রঞ্জন কর্মকার বলেন, “আমি ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসেছি। নেপালবাবু ভেবেছেন, আমি তৃণমূলে যোগ দেব। তাই বোঝাতে এসেছিলেন। তৃণমূলের কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আমিও কারও সঙ্গে কথা বলিনি। তবে দলের মধ্যে একটু মনোমালিন্য হচ্ছিল। এখন ঠিক আছে”।
এই বিষয়ে কী জানাচ্ছে তৃণমূল?
এই ঘটনায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, “নির্দল প্রার্থীদের দলে টানতে তৃণমূল তাঁদের কলকাতায় নিয়ে এসেছে, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কংগ্রেসই যদি তাঁদের পাশে থেকেও ভরসা না দিতে পারে, সেটা কি তৃণমূলের দোষ”?