রাজ্য

জুলুমবাজি! মেলার জন্য দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা, টাকা না দেওয়ায় হোটেলে ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে

মেলার চাঁদা দিয়ে হোটেলে জুলুমবাজি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঁদা না দেওয়ার হোটেলের কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। হোটেলেও ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রহড়া থানার পুলিশ। তবে তৃণমূলের তরফে এই সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে খড়দহ কল্যাণী এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে এক হোটেলে। জানা গিয়েছে, ওই হোটেলে মেলার জন্য চাঁদা নেওয়ার জন্য যান স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুকুর আলির ভাই। ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয় ওই হোটেলের থেকে। কিন্তু হঠাৎ এতগুলো টাকা দিতে অস্বীকার করেন হোটেল মালিক।

হোটেল মালিকের কথায়, তিনি চাঁদা দিতে বারণ করলে তৃণমূল নেতার ভাই সেইসময় সেখান থেকে চলে যায়। তিনি ভেবেছিলেন হয়ত বিষয়টা ওখানেই মিটে গিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই দলবল নিয়ে ওই হোটেলে হাজির হয় ওই তৃণমূল নেতার ভাই। গালিগালাজ করতে থাকে তারা। হোটেলের কর্মীরা এর প্রতিবাদ জানালে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাদের দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।

জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত এলাকার ব্লক সভাপতি শুকুর আলির ভাইয়ের বেশ দাপট রয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, সেই দাপট দেখিয়েই তিনি চাঁদা তুলছিলেন। হোটেল কর্মীদের মারধরের ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় রহড়া থানার পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে অভিযুক্তরা সেখান থেকে চলে যান। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ওই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে পঞ্চায়েত উপপ্রধান এই গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “এলাকার ১৫০ বছরের পুরনো একটি মেলা। সবাই এখানে স্বেচ্ছায় অনুদান দেন। কারোর ওপরেই জোর করা হয় না। ৭-৮ দিন ধরে মেলা চলে। মেলা শেষ হয়ে গিয়েছে, এই হোটেল মালিকের অনুদান দেওয়া বাকি ছিল। সেটাই চাইতে গিয়েছিল ওরা। কোথাও কোনও ভাঙচুর হয়নি। অভিযোগ ভিত্তিহীন”।

Back to top button
%d