রাজ্য

ক্রমেই বাড়ছে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, কাঠগড়ায় দলেরই নেতা, চাঞ্চল্য গোসাবায়

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এর আগেই রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে নানান অশান্তি অভিযোগ উঠে আসছে। শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দলও বাড়ছে ক্রমেই। গতকাল, সোমবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবায় তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় গুলি। এই ঘটনায় এক তৃণমূল নেতার দিকেই আঙুল উঠেছে। ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীর নাম মনোরঞ্জন মণ্ডল। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার বাসিন্দা। গতকাল, সোমবার রাতে ওই তৃণমূল কর্মী সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল নেতা বরুণ প্রামাণিক ওরফে চিত্তর নেতৃত্বে অসিত মণ্ডল ও দেবু হালদার মনোরঞ্জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

গুলি লাগতেই সাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে যান ওই তৃণমূল কর্মী। রক্তে ভেসে যায় রাস্তা। এই বিষয়টি টের পেতেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তবে ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে। তড়িঘড়ি তৃণমূল কর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।

সূত্রের খবর, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বরুণ প্রামাণিক ওরফে চিত্ত বিজেপি ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। কিন্তু অভিযোগ, তৃণমূলে যোগ দিলেও তিনি বিজেপির সঙ্গে থেকেই এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছেন। তবে গুলি চালানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন বরুণ প্রামাণিক।

তাঁর কথায়, “আমি প্রায় চারদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছি। অ্যাপেলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। দুদিন হল বারুইপুরের বাড়িতে রয়েছি। ঘটনায় আমাকে যুক্ত করে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে ওরা। পুলিশকে বলেছি যারা এই কাজে যুক্ত তাঁদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিক। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না”। বরুণ প্রামাণিক কী সত্যি বলছেন নাকি অন্য কোনও কাহিনী রয়েছে এই ঘটনার পিছনে? তদন্ত করছে পুলিশ।

Back to top button
%d