রাজ্য

সিবিআই চলে যেতেই ভুরিভোজ, নিজের হাতে পরিবেশন করে সকলকে খাসির মাংস-ভাত খাওয়ালেন তাপস সাহা, উৎসবের মেজাজে বিধায়ক

গত শুক্রবার বিকেলে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়ি তল্লাশি করতে ঢোকে সিবিআই। প্রায় ১৫ ঘণ্টা তল্লাশির পর শনিবার সকালে সেখান থেকে বের হত তারা। আর এরপরই দেখা যায় যে উৎসব লেগে গিয়েছে তাপস সাহার বাড়ি। দলের কর্মী-সমর্থকদের মাংস-ভাত খাওয়ালেন বিধায়ক। যদিও তাপস সাহার দাবী, ইদ উপলক্ষ্যেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আবদার রাখতে খাইয়েছেন তিনি। তবে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ে নি বিরোধীরা।

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গত শুক্রবার বিকেলে সিবিআই হাজির হয় তাপস সাহার বাড়ি। শনিবার সকাল পর্যন্ত চলে তল্লাশি। তাপস সাহার দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। বিধায়কের দাবী, তাঁর বাড়ি থেকে সোনাদানা বা টাকাপয়সা কিছুই পায়নি সিবিআই। আর এরপরই দেখা যায় তাপস সাহার বাড়িতে চলছে উৎসব।

সূত্রের খবর, তেহট্টের ১৩টি অঞ্চলের শ’য়ে শ’য়ে কর্মী-সমর্থক হাজির হন তাপসের বাড়িতে। এদিন খাবারের মধ্যে ছিল ডাল, ভাত, আলুর চিপস, পাঁঠার মাংস, চাটনি, মিষ্টি। দলীয় বিধায়ককেও এদিন দেখা যায় তিনি সকলকে খাবার পরিবেশন করছেন।

তৃণমূল কর্মীদের কথায়, সিবিআই খালি হাতে ফিরে যাওয়ার পর দেরি না করেই তাঁরা তাপসের বাড়িতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে বলেন। তাতে রাজিও হয়ে যান বিধায়ক। তেহট্টের ব্লক তৃণমূল সভাপতি বিশ্বরূপ রায় জানান, সকলে চাঁদা দিয়ে ভুঁড়িভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল না।

অন্যদিকে, বিধায়ক তাপস সাহার দাবী, প্রতি বছরই ইদে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয় তাঁর বাড়িতে। এই বছরও এর কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। অনেকেই রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছিলেন তাঁর বাড়িতে। পরে যারা এসেছিলেন তারা সবাই খাওয়া-দাওয়ার আবদার করেছিলেন। সেই কারণেই তিনি এই খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিলেন বলে জানান।

এ নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের মতে, সিবিআই অভিযানে কিছু না মেলার কারণে উচ্ছ্বসিত হয়েই তাপসের বাড়িতে এই ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। দলের কৃষ্ণনগর উত্তর সংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “কে কোথায় কী খাওয়া দাওয়া করছে তাতে আমরা মাথা ঘামাই না। তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তদন্ত চলছে, এত উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই”।

Back to top button
%d bloggers like this: