ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন উদয়ন গুহ, বিজেপি বিধায়ককে ‘জেল খাটা আসামী’ বলে কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের

মাঝেমধ্যেই নানান ধরণের বিস্ফোরক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। তবে নিজের মন্তব্যের কারণে বিতর্কের মুখেও পড়তে হয় তাঁকে। এবার ফের একবার বিজেপি বিধায়ককে ‘জেল খাটা আসামী’ বলে বিতর্কে জড়ালেন দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ।
গতকাল, রবিবার তুফানগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কর্মী সম্মেলনে যোগ দেন উদয়ন গুহ। সেই সভা থেকেই বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তিনি। বিজেপি বিধায়ককে সরাসরি ‘জেল খাটা আসামী’ বলে দাগেন উদয়ন। তাঁর এহেন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিন উদয়ন বলেন, “সালটা ১৯৯৫, সে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম হয়নি। বিজেপিরও পশ্চিমবঙ্গের উপর তখন প্রভাব ছিল না। সে সময় দিনহাটা-২ নম্বর ব্লকের সাহেবগঞ্জে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে ডাকাতির কেসে জেল খেটেছেন বর্তমান বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়। এখনও কোর্টে কেস চলছে। এইসব ডাকাতরা ক্ষমতায় এলে মানুষের রাতের ঘুম উড়িয়ে দেবে। তাই এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে”।
শুধু তাই-ই নয়, গরু পাচারের অভিযোগ নিয়েও এদিন বিজেপিকে তোপ দাগেন উদয়ন গুহ। তাঁর কথায়, “বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারের অভিযোগে সিবিআই জেলবন্দি করেছে। সেই উঁচু উঁচু গরু সব হরিয়ানার। সেখানকার শাসক বিজেপি”। তাঁর দাবী, এর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা উচিত।
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফলাফলের পর এই বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য-সহ অনেক সংখ্যালঘু মানুষ যোগ দেন সিপিএমে। ফলে এখন সেই জায়গায় সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। এই কারণেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই কর্মীসভা করেছেন উদয়ন গুহ, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। বিজেপি বিধায়ককে এমনভাবে শানানোর জেরে এখনও পর্যন্ত বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।