রাজ্য

চাকরি নিয়ে প্রতারণা! মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নিয়োগপত্র পেয়েও চাকরি হল না যুবকের, হতাশাগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থী

এর আগে হুগলী থেকে এমন অভিযোগ উঠে এসেছিল। এবার এই ধরণের অভিযোগ এল পশ্চিম মেদিনীপুর থেকেও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে ফের ছড়াল বিভ্রান্তি। এই ঘটনায় আগেই বিজেপি তোপ দেগেছে শাসক দলকে। যদিও তৃণমূলের তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে শাসক দলের একাধিক নেতার। এর জেরে বেশ চাপের মুখে তৃণমূল। এমন আবহে নানান জেলার সভা থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র প্রদান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নিয়োগপত্র নিয়ে বারবার ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। চাকরির এই নিয়োগপত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলকে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। আর নিয়োগপত্র নিয়ে বিভ্রান্তি নিয়ে তো এবার কটাক্ষের মাত্রা ছাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এর আগে হুগলীর সভা থেকে প্রদান করা নিয়োগপত্র নিয়ে নানান বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এবার সেই একই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরেও। সেখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রদান করা নিয়োগপত্র নিয়ে বেশ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।  

সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা এলাকার এক সভা থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন কুশল দে নামের এক যুবক। সেই নিয়োগপত্র অনুযায়ী, গুজরাতের সানন্দে টাটা মোটরস কোম্পানিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর চাকরির সুযোগ পান তিনি। কিন্তু এখানেই শুরু বিভ্রান্তির।

অভিযোগ, নিয়োগপত্র হাতে তুলে দেওয়ার দিনই তাঁকে সেই কোম্পানিতে রিপোর্টিং করতে বলা হয়। শুধু তাই-ই নয়, টাটা মোটরস কোম্পানিতে কার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে অর্থাৎ কোন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে হবে, তাঁর নাম বা ফোন নম্বর কিছুই উল্লেখ করা হয়নি ওই নিয়োগপত্রে। এর জেরে স্বভাবতই বেশ হতাশ হয়েছে ওই যুবক। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবী তুলেছে ওই যুবকের পরিবার।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে কুশল জানান, “গত ১৫ ই সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর খড়গপুর সভা থেকে আমাকে অন জব ট্রেনিংয়ের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। তবে নিয়োগপত্রে ওই দিনই রিপোর্টিং করার কথা বলা হয়েছিল। তা দেখে অত্যন্ত ভেঙে পড়ি। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো সম্পূর্ণটা জানেন না। ওনার সহযোগিতা কামনা করি”।

Back to top button
%d bloggers like this: