অফবিট

অদ্ভুত বিশ্বাস! বৃষ্টির অভাবে বন্ধ চাষবাস, ফলছে না ফসল, বরুণদেবকে তুষ্ট করতে দুই বালকের বিয়ে দিল গ্রামবাসী

দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে না বৃষ্টি। জলের অভাবে চাষবাস প্রায় বন্ধ। ক্ষতির আশঙ্কা গ্রামে। বৃষ্টি আনতে তাও দুই বালকের বিয়ে দিল গ্রামবাসী। তাদের বিশ্বাস পঞ্চম শ্রেণীর দুই বালককে বিয়ে দিলেই তুষ্ট হবেন বরুণদেব। এক গ্রামবাসীর দাবী, ওই নাবালকদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই নাকি এলাকায় ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চিক্কাবল্লাপুর জেলার বেশ কিছু গ্রামেই।

কী ঘটেছে গোটা ঘটনাটি?

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবী করা হয় যে গত কয়েকদিনে অন্তত তিনটি গ্রামে দুই বালকের বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে অন্যতম চিন্তামণি তালুকের হিরেকাট্টিজেনাহলি গ্রাম। মঞ্জুনাথ নামে সেখানকার এক কৃষক জানান, “আমাদের বিশ্বাস ছিল দু’টি ছেলের বিয়ে দিলেই দেবতা তুষ্ট হবেন। গ্রামে বৃষ্টি হবে”। এই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেই গোটা গ্রামেবাসীরা দুই নাবালকের বিয়ের আয়োজন করেন। 

সূত্রের খবর, বিয়ে দেওয়ার জন্য অনগ্রসর শ্রেণীর এক বালককে বর সাজানো হয়। আর এক দলিত বালককে সাজানো হয় কনে। এরা দু’জনেই পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া। পূর্ণিমার রাতে গ্রামবাসীরা তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। বিয়ের সমস্ত আচার-আচরণ, মঙ্গলসূত্র পরানো, সবটাই সুষ্ঠুভাবে পালিত হয়। বালকদের বিয়ের জন্য বিশেষ আরতিও করেন গ্রামবাসীরা। সামর্থ্য অনুযায়ী দুই বালককেই উপহার দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, উপহার বাবদ মোট ১৬০০ টাকা পেয়েছে দুই বালক। তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছে তারা। মঞ্জুনাথ বলেন, এই বিয়ের ঠিক আধঘণ্টার মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে গ্রামে। তবে এই বিয়ে হলেও এর কোনও বৈধতা নেই বলেই জানায় গ্রামবাসীরা। আগামী দিনে দুই বালকই নিজেদের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করবে।

Back to top button
%d bloggers like this: