রাজ্য

পঞ্চায়েত রাস্তা ঠিক করছে না, নিজেই ঝুড়ি-কোদাল নিয়ে বেহাল রাস্তা সারানোর কাজে লাগলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি

তাঁর নিজের গ্রামের রাস্তারই বেহাল অবস্থা। প্রশাসনকে দীর্ঘদিন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণে স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই নিজেই রাস্তা সারাইয়ের কাজে লেগে পড়লেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। তা দেখে এগিয়ে আসেন বিজেপি কর্মীরাও। বিজেপি বিধায়কের এই রাস্তা সারানোর কাজের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই তা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

কেন নিজেই রাস্তা সারাইয়ের কাজে নামলেন বিজেপি বিধায়ক?

জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের রাঙামেটা থেকে কেলাই হয়ে রাজামেলা যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই কারণেই গ্রামের সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিতে দেখা গেল খোদ বিজেপি বিধায়ককে। শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করেন। নিজের বেতনের টাকা দিয়েই রাস্তার গর্ত বোজানোর সামগ্রী কেনেন তিনি। আর রবিবার স্বামীকে নিয়েই কোদাল ঝুড়ি হাতে বিধায়ক রাস্তা সংস্কারের কাজে নেমে পড়েন বিধায়ক।

কী জানান চন্দনা বাউরি

বিজেপি বিধায়ক জানান, শুধুমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক হওয়ায় তাঁর গ্রামের রাস্তা মেরামত করতে দেওয়া হয়নি। দিনের পর দিন এই বেহাল রাস্তার কারণে শুধু বিধায়কই নয়, এলাকার মানুষও চরম কষ্টে যাতায়াত করছিল। বর্ষায় সেই রাস্তার অবস্থা আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া সেই রাস্তার হাল ফেরাতে তাই মাঠে নামলেন নিজেই। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তা মেরামতির কাজ করলেন চন্দনা।

কিন্তু চন্দনা বাউরির এই অভিযোগ নসাৎ করে দিয়েছেন গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা ব্লক সভাপতি নিমাই মাজি। তাঁর কথায়, “উনি নাটুকে মহিলা। এই রাস্তা পথশ্রীতে উদ্বোধন হয়েছে। কাজ চলছে”।

বলে রাখি, বিধায়ক হওয়ার আগে দীর্ঘদিন রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন চন্দনা বাউরি। স্বামীর সঙ্গেই এই কাজ করতেন তিনি। তবে এখন তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য। কিন্তু শাসকদলের অসহযোগিতার কিছু বাধ্য হয়ে ফের নিজের পুরনো কাজে হাত লাগাতে হল বিজেপি বিধায়ককে।

Back to top button
%d bloggers like this: