‘পুজোর আগে ফ্রি-তে জুতো’, পার্থকে জুতো মারার ঘটনায় বললেন জয়জিৎ, ‘জুতো ছুঁড়ে বেশ করেছেন’, তোপ ভরতেরও

আজ, মঙ্গলবার জোকা ইএসআই হাসপাতাল চত্বরে আকস্মিক এমন এক ঘটনা ঘটে যায়, যা সকলকে মুহূর্তের জন্য হতবাক করে দেয়। আর এই ঘটনার জেরে এখন চর্চায় উঠে এসেছেন আমতলার শুভ্রা ঘোড়ুই। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে তাক করে নিজের জুতো ছুঁড়ে মারেন শুভ্রাদেবী।
এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির জন্য এমন রাগের বহিঃপ্রকাশ ওই মহিলার। এই ঘটনায় এক বিখ্যাত জুতো কোম্পানির এক জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের কথা স্মরণ করিয়ে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন, “পুজোয় চাই নতুন জুতো, কেউ ফ্রিতে পায়”।
এই ঘটনা নিয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয় অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি এই ঘটনাকে সমর্থন করছেন কী না, তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “ওঁর মনে হয় খালি পা ছিল। পায়ে যদি কাঁটা ফুটে যায়, তাই পার্থকে বাঁচাতে এই জুতো দিয়েছেন মহিলা। এর র জয়জিৎ বলেন, “আমি আমার ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ করেছি। কোনও দলের ছত্রছায়ায় নেই। কারও ভাল লাগতে পারে, আবার কারও খারাপ লাগতে পারে। অনেকের সঙ্গে তর্কও হয়। তবে বাংলার মানুষের কাছে এতটা খারাপ ব্যাপার অভিপ্রেত ছিল না”।
তাঁর অনেক সহকর্মী-বন্ধুওই তো নানান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাদের সঙ্গে পার্থ-অর্পিতার ঘটনা নিয়ে কী কোনও আলোচনা হয়েছে? এর উত্তরে অভিনেতা স্পষ্ট জানান, “যে লোক রাজনীতি বোঝে তার সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। যারা এক এক সময় রাজনৈতিক মতাদর্শ বদল করবে তাদের সঙ্গে আমি রাজনৈতিক আলোচনা করতে চাই না। ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে মানুষের রাজনৈতিক আদর্শ তৈরি হয়ে যায়। তার পর যারা রাজনৈতিক মতাদর্শ পাল্টায়, তা আখের গোছানোর জন্য ছাড়া আর কিছু নয়”।
টলিপাড়ার অনেকেই শাসক দলের বেশ ঘনিষ্ঠ। তাদের মধ্যেও কেউ কেউ এই জুতো মারার ঘটনার মধ্যে কিছু অন্যায় দেখছেন না। যেমন প্রযোজক এবং অভিনেতা ভরত কল এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “যদি পার্থবাবু দোষ করে থাকেন, তা হলে আমি বলব ভদ্রমহিলা জুতো ছুড়ে বেশ করেছেন। এটা সাধারণ মানুষের আবেগ। উনি যদি শারীরিক ভাবে আঘাত করতেন, তা হলে অনুচিত হত। উনি বুঝেছেন, এই ভাবেই তিনি প্রতিবাদ জানাতে পারেন”।
তিনি আরও বলেন, “আমি যতই তৃণমূলকে সাপোর্ট করি না কেন, যেটা অন্যায় সেটা অন্যায়। উনি যদি নির্দোষ প্রমাণিত হন, তখন আমি আমার কথা ফিরিয়ে নেব”।
আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেতা বলেছেন, “আমার সঙ্গে পার্থদার কাছের সম্পর্কই ছিল। কিন্তু যা দেখছি তা আশা করিনি। এখনও ভাবতে পারছি না। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আমি নিজে জুতো ছুড়ে মারার পক্ষপাতী নই। কিন্তু এটাও বুঝতে পারছি, এর মধ্যে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে”।