লাইফ স্টাইল

প্রতিদিন সকালে খান মেথি ভেজানো জল, ব্লাড সুগার তো নিয়ন্ত্রণে থাকবেই, খেতে হবে না এই ৪ রোগের ওষুধও

মেথির উপকারিতা অনেক। অনেকেই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি ও মৌরি ভেজানো জল খান। অনেকে আবার মেথির সঙ্গে জোয়ান মিশিয়ে সেই জল খান। প্রাচীন এই টোটকা অনেক রোগ সারাতে সক্ষম। এখন তো পুষ্টিবিদরাও মেথি খাওয়ার পরামর্শ দেন। মেথি পাতার মধ্যে থাকে অনেক গুণাগুণ। মেথি বেটে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে। অনেক রোগেরই উপশম ঘটায় এই মেথি। 

মেথি স্বাদে একটু তিতকুটে। তবে প্রয়োজনীয় প্রচুর খনিজ থাকে মেথিতে। মেথির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, থায়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ভিটামিন এ, বি ৬। খনিজের মধ্যে আছে কপার, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেশিয়াম।

শীতকালে ত্বক শুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যাও দেখা দেয়। প্রতিদিন খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খেলে ত্বকের জেল্লা ফিরবে। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর হবে। এর ফলে মেদ ঝরবে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে মেথি ভেজানো জল খেলে।

মেথির মধ্যে একরকম অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যা ডায়াবেটিস রুখতে সাহায্য করে। আর তাই যাঁদের ডায়াবেটিস থাকে তাঁদের মেথি চিবিয়ে খেতে বলা হয়। মেথি ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্যানসার রুখতেও মেথির ভূমিকা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আয়ুর্বেদ। পেটের গোলমালে মেথির রস কাজে আসে।

আজকাল বাজারে মেথির ক্যাপসুল পাওয়া যায়। আর তাই চাইলে এই ক্যাপসুলও খাওয়া যেতে পারে। মেথি একাধিক রোগের ওষুধ। তবে যাদের অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁরা খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। তবে রোজ ৫ গ্রামের বেশি মেথি খাওয়া ঠিক নয়। তবে তাও দু’বেলা ভাগ করে খান। এছাড়াও টানা ৬ মাসের বেশি মেথি খাওয়া ঠিক নয়।

মেথি ভেজানো জলের মধ্যে সাপোনিস ও ডায়োজেনিন নামের দু’ধরণের যৌগ রয়েছে। এই যৌগ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়াও মেথির মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা যদি রোজ মেথি ভেজানো জল খান তাহলে উপকার পাবেন। মেথি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

Back to top button
%d