ভাইরাল

রক্ষকই যখন ভক্ষক! বিমানবন্দরে যাত্রীদের ব্যাগ খুলে দেদার টাকা লুঠ নিরাপত্তারক্ষীদেরই, এভাবেই লাখখানেক আয় প্রতিদিন, ভাইরাল ভিডিও

বিমানবন্দরে ব্যাগেজ চেকিং বাধ্যতামূলক। সেই কাজ বিমানবন্দরের কর্মীরাই করে থাকেন। কিন্তু যাদের কাছে আমরা নিশ্চিন্তে আমাদের লাগেজ জমা দিচ্ছি, তারা নিজেরাই যদি ভক্ষক হন, তাহলে? সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দু’জন ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কর্মীকে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে টাকা সরাতে দেখা গিয়েছে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। 

কী ঘটেছে ঘটনাটি?

এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৯শে জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এমন নির্লজ্জতার কাজ করা দুই কর্মী হল ২০ বছর বয়সি জসু গঞ্জালেস ও ৩৩ বছর বয়সি লাবারিয়াস উইলিয়ামস। যাত্রীদের থেকে বিমানবন্দরের ভিতরেই টাকা পয়সা এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস খোয়া যাওয়ার অভিযোগ মেলে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন। এরপর জুলাই মাসে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে যাত্রীদের লাজেগ এক্স-রে মেশিনের ভিতর দিয়ে চেক হওয়ার পর তা এসে পৌঁছয় ওই অভিযুক্ত কর্মীদের কাছে। সেই সময়ই তারা যাত্রীদের পার্স ও ওয়ালেট থেকে টাকা বের করে নেয়। একজনকে স্পষ্ট দেখা যায় যে যাত্রীর ব্যাগ থেকে টাকা বের ক্রেনিজের পকেটে ঢোকাচ্ছে।

ভিডিওতে যে দুই কর্মীকে দেখা গিয়েছে, তারা ছাড়াও এই ঘটনার সঙ্গে আরও এক কর্মী জড়িত বলে খবর পায় পুলিশ। এদের সকলের বিরুদ্ধে চুরি ও প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়। পুলিশি তদন্তে জেরার মুখে পড়ে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেয় ওই কর্মীরা।

তারা জানায় যে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও তারা এমনভাবে যাত্রীদের ব্যাগ থেকে টাকা সরিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় নিয়ম করেই এমন কাজ করত তারা। এভাবেই দিনে গড়ে ১০০০ ডলার করে টাকা এভাবেই চুরি করেছে অভিযুক্তরা। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Back to top button
%d