ভাইরাল

বছরের শেষদিনে অত্যধিক চাপ! খাবার হাতে ডেলিভারি বয়-এর পোশাক পরে নিজেই অর্ডার ডেলিভার করতে বেরিয়ে পড়লেন Zomato-এর কর্ণধার

বর্ষশেষের রাতে যে অর্ডারের চাপ থাকবে, তা তো জানা কথাই। সেই কারণে ৩১শে ডিসেম্বর রাতে নিজেই খাবার ডেলিভার করতে বেরিয়ে পড়লেন জোম্যাটোর সিইও দীপিন্দর গোয়েল। নিজেই টুইট করে সেকথা জানালেন তিনি। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও তিনি খাবার ডেলিভার করেছেন গ্রাহকদের বাড়িতে। একথা জানা যায় নকরি.ডম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সঞ্জীব ভিখচন্দানির টুইট থেকে।  

বছরের শেষদিনে এই একই দৃশ্য দেখা গেল। জ্যোমাটোর লাল জ্যাকেট পরে দীপিন্দর ফুড ডেলিভারি দিতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন। সবমিলিয়ে দীপিন্দর চারজন গ্রাহকদের বাড়ি ফুড ডেলিভার করেছেন। এদের মধ্যে একজন বয়স্ক দম্পত্তিও রয়েছেন। তারা তাদের নাতি-নাতনিদের সঙ্গে নতুন বছরের আনন্দে মেতেছিলেন। এ যেন প্রজন্মের ফারাক মুছে এক হয়েছেন সবাই। আর সঙ্গী যেন জ্যোমাটো।

গতকাল অর্থাৎ ৩১শে ডিসেম্বর রাতে মজার ছলে টুইট করে দীপিন্দর জানিয়েছিলেন যে, এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ব্যাক করছেন। কারণ, এখন তিনি কয়েকটি ফুড ডেলিভারি দিতে বেরোচ্ছেন। তারপর নিজেই জ্যোমাটোর রেড জ্যাকেট পরা ফটো পোস্ট করেন দীপিন্দর। এরপরই তাঁর সেই ছবি নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায় নেটিজেনদের মধ্যে

তবে হাসি-ঠাট্টার মধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করেন তিনি। দীপিন্দর জানান, গতকাল অর্থাৎ ৩১শে ডিসেম্বর রাতে জ্যোমাটো যত ডেলিভারি করেছে, সেই সংখ্যাটা ফুড ডেলিভারি সংস্থার প্রথম তিন বছরের ডেলিভারির মোট সংখ্যার প্রায় সমান। তিনি আরও জানান যে ২০২১ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর, এই এক বছরে জ্যোমাটোর ফুড ডেলিভারির সংখ্যা প্রায় বেড়েছে ৪৫%। উচ্ছ্বসিত দীপিন্দর টুইট করে বলছেন, “আমরা হয়তো নতুন মাইলস্টোন তৈরি করতে চলেছি আজকে”।

৩১শে ডিসেম্বর হোক বা ১লা জানুয়ারি, অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার উপর চাপ স্বভাবতই খুব বেশি থাকে। এই কারণে সংস্থার তরফে বলা হয় যাতে গ্রাহকরা অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু আগে থেকে অর্ডার করেন। কারণ ঠিক সময় খাবার ডেলিভার না হলে গ্রাহকদের বারবার ফোন আসতে থাকে। এর জেরে গ্রাহকদের যেমন অপেক্ষা করতে হয়, তেমনই আবার ডেলিভারি বয়দের উপরও চাপ বেড়ে যায়।

Back to top button
%d bloggers like this: